নওফেল গ্রুপের সংঘর্ষে রক্তাক্ত চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, রাতের আঁধারে ছাড়া পেল আটকরা

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) দুই আবাসিক হল থেকে বিপুল পরিমাণ দেশীয় অস্ত্র উদ্ধারসহ পাঁচজনকে আটকের পর গভীর রাতে ছেড়ে দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

শুক্রবার (২২ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ১০টায় শাহ আমানত হল ও শাহ জালাল হলে এ অভিযান চালায় চবি প্রশাসন। এর আগে শাখা ছাত্রলীগের দুগ্রুপে দফায় দফায় হামলা ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

অভিযানে নেতৃত্ব দেন হাটহাজারী উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) আবু রায়হান, চট্টগ্রামের ক্রাইম শাখার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আসাদুজ্জামান, প্রক্টর ড. নূরুল আজিম সিকদারসহ প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যরা।

জানা যায়, শুক্রবার সন্ধ্যায় হাটহাজারী মেখল এলাকার ইসকন শ্রীশ্রী পুণ্ডরীক ধামে অনুষ্ঠিত রাধাষ্টমীর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল। অনুষ্ঠানে যোগ দিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক নম্বর গেইট এলাকা দিয়ে যাওয়ার সময় সিএফসি ও বিজয় গ্রুপের নেতারা উপমন্ত্রীকে শুভেচ্ছা জানাতে জড়ো হন। একপর্যায় দুগ্রুপের নেতাকর্মীরা হঠাৎ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে চারজন আহত হন।

আরও পড়ুন : চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাটল ট্রেন বন্ধ, কেউ ছাদে উঠলে ছাড়বে না ট্রেন

ছাত্রলীগ সূত্রে জানা গেছে, উপমন্ত্রীকে শুভেচ্ছা জানাতে চবি ছাত্রলীগ সভাপতি রেজাউল হক রুবেলের নেতৃত্বে সিএফসি গ্রুপের একাংশের নেতাকর্মীরা এক নম্বর গেইট এলাকায় অবস্থান নেয়। একই সময় এক নম্বর গেইট এলাকায় চবি ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও বিজয় গ্রুপের নেতা মো. ইলিয়াসের নেতৃত্বে অবস্থান নেয় বিজয় গ্রুপের নেতাকর্মীরা। একপর্যায়ে দুগ্রুপের নেতাকর্মীদের মাঝে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। দুগ্রুপ শিক্ষা উপমন্ত্রীর অনুসারী। এরপর চবি প্রশাসন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ আনতে ক্যাম্পাসে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করে।

এদিকে এদিন রাত সাড়ে ১০টার দিকে চবির শাহ আমানত ও শাহ জালাল হলে হঠাৎ তল্লাশি চালায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এসময় দুহল থেকে বিপুল পরিমাণ দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। এসময় শাহ আমানত হল থেকে সন্দেহজনক পাঁচ ছাত্রকে আটক করা হয়। পরে রাত ২টার দিকে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন শিক্ষার্থী আলোকিত চট্টগ্রামকে বলেন, আমরা পড়ালেখা করার জন্য কষ্ট করে হলে থাকি। কিন্তু ছাত্রলীগের মধ্যে সংঘর্ষ ও হামলার ঘটনায় হলের প্রত্যেক রুমে তল্লাশি করে প্রশাসন। এতে সাধারণ শিক্ষার্থীরা আতঙ্কিত হয়ে পড়ে। সবসময় আতঙ্ক ও ভয়ভীতির মধ্যে থাকতে হয় আমাদের।

যোগাযোগ করা হলে চবি প্রক্টর ড. নূরুল আজিম সিকদার আলোকিত চট্টগ্রামকে বলেন, অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়াতে আমরা দুটি আবাসিক হলে অভিযান পরিচালনা করেছি। এসময় পাঁচ ছাত্রকে আটকসহ লোহার রড, ক্রিকেট খেলার স্ট্যাম্প ও দেশি অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। ক্যাম্পাসে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েনে আছে।

এএইচ/আরবি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!