যতদিন পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হয় তেল—চিনি—ছোলায় ভর্তুকি : বাণিজ্যমন্ত্রী

চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (সিসিসিআই) আয়োজিত ২৯তম আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা নগরের রেলওয়ে পলোগ্রাউন্ড মাঠে শুরু হয়েছে।

মঙ্গলবার (৩১ মে) বিকেলে সিসিসিআই সভাপতি মাহবুবুল আলম সভাপত্বিতে মাসব্যাপী এ মেলার উদ্বোধন করেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।

অনুষ্ঠানে অতিথি ছিলেন সাংসদ এমএ লতিফ, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. রেজাউল করিম ও চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার সালেহ মোহাম্মদ তানভীর।

আরও পড়ুন: ৩৭০ স্টলের বাণিজ্যমেলায় শিশুদের জন্য ৩ হাজার বর্গফুটের বিনোদনকেন্দ্র

প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, চট্টগ্রামের সঙ্গে আমার দীর্ঘদিনের সম্পর্ক। এখানকার মানুষের মন অনেক বড়। চট্টগ্রাম অর্থনীতির লাইফ লাইন, গেটওয়ে। চট্টগ্রামের ওপর নির্ভর করতে হয় দেশের। বন্দরকে আপগ্রেড করতে হবে এবং চট্টগ্রামকে আরও গুরুত্ব দিতে হবে। আশাকরি ৬০ বিলিয়ন ডলার রপ্তানি করতে পারব এবার।

মন্ত্রী বলেন, তেলের দাম বাড়ায় অনেকে আমাকে পদত্যাগ করতে বলেছিল। বাণিজ্যমন্ত্রী পদের প্রতি আমার লোভ নেই। তেল, গম, ডাল আমদানি করতে হয় বাইরে থেকে। তবে আমাদের চেষ্টার ত্রুটি নেই। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে এক কোটি মানুষকে তেল, চিনি, ও ছোলা দিয়েছি সাশ্রয়ী মূল্যে। এতে ৫ কোটি মানুষ উপকৃত হয়েছে। যতদিন পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হয় ততদিন ভর্তুকি দিতে হবে। দেশকে এগিয়ে নিতে সরকারের পাশাপাশি ব্যবসায়ীদের অবদান আছে। সরকার ব্যবসা করবে না, ব্যবসায় সহায়তা করবে।

তিনি বলেন, স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশ হওয়ার পথে বাংলাদেশ দ্বিতীয় ধাপ পার হলো। এখন চূড়ান্ত ধাপ অতিক্রমের পালা। ২০১৮ সালে বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশের পথে যাত্রা শুরু করেছিল। সেই ধারাবাহিকতায় ২০২১ সালে এসে এই দেশ জাতিসংঘের আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি পেল। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে ২০২৬ সালে আমরা উন্নয়নশীল দেশের চূড়ান্ত কাতারে পৌঁছাব। দ্বিতীয় ধাপের অর্জন অবশ্যই গর্বের বিষয়। অর্থনীতির জন্য একটা মাইলফলক।

সাংসদ এমএ লতিফ বলেন, প্রধানমন্ত্রী চট্টগ্রামসহ দেশের অবকাঠামো উন্নয়নকে গুরুত্ব দিয়েছেন। কিন্তু কিছু কুলাঙ্গার ব্যবসায়ীর জন্য সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে। তাদের বিরুদ্ধে কঠোর হতে হবে।

আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে সয়াবিন তেল কিনতে নতুন টোপ, ফায়দা লুটছে ব্যবসায়ীরা

সিএমপি কমিশনার সালেহ মোহাম্মদ তানভীর বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতির বড় চালিকাশক্তি হচ্ছে চট্টগ্রাম। মাতারবাড়িতে সমুদ্রবন্দর, এনার্জি হাব, মিরসরাই বঙ্গবন্ধু শিল্পনগর হচ্ছে। দুবছর পর চট্টগ্রামে বাণিজ্য মেলা হচ্ছে। চট্টগ্রামকে বিনিয়োগবান্ধব, ব্যবসাবান্ধব করতে সিএমপির প্রতিটি সদস্য দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।

সভাপতির বক্তব্যে চেম্বার সভাপতি মাহবুবুল আলম বলেন, চট্টগ্রাম বাণিজ্যিক রাজধানী। কিন্তু দুঃখের বিষয় চট্টগ্রামে বাণিজ্য মেলার স্থায়ী জায়গা নেই। আমরা বাণিজ্য মেলার জন্য স্থায়ী জায়গা চাই। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক আট লেনে উন্নীত করা সময়ের দাবি। বিএসটিআই, কোয়ারেন্টাইনসহ সরকারি দপ্তরের যে অফিস চট্টগ্রামে আছে তাদের ক্ষমতা দিতে হবে। মহাসড়কে ১৩ টনের বিধিনিষেধ দেশের সব মহাসড়কের জন্য আরোপ করতে হবে।

টিবি/আরবি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!