চট্টগ্রামে ‘অভিনব চুরি’, পালাল লাকসাম—নাঙ্গলকোটের ২ লোক

কখনো রেস্টুরেন্টের চায়ের কারিগর, আবার কখনো পরোটার কারিগর সেজে চাকরি নেন নাঙ্গলকোটের জসিম ও লাকসামের মনজু। চাকরির আগে অগ্রিম জামানতও নেন এই দুই লোক। এরপর রেস্টুরেন্টের স্টাফ বাসায় রাত্রিযাপনের নামে অন্যান্য স্টাফদের পকেটে থাকা সারামাসের কষ্টে অর্জিত টাকা ও মোবাইল নিয়ে সটকে পড়েন তাঁরা।

এমন ঘটনা ঘটেছে চট্টগ্রাম নগরের কোতোয়ালী থানার কাজির দেউড়ি আউটার স্টেডিয়াম এলাকার একটি রেস্টুরেন্টে। এ নিয়ে কোতোয়ালী থানায় মামলা করেছে রেস্টুরেন্ট কর্তৃপক্ষ। মামলায় আসামিরা হলেন— কুমিল্লা জেলার নাঙ্গলকোট থানার সালুকিয়া গ্রামের রফিক মেম্বারের বাড়ির মৃত আলী আকবরের ছেলে মো. জসিম এবং কুমিল্লার লাকসাম থানার শ্রীয়াং গ্রামের পিয়ার আলী মৌলভীর বাড়ির দেলোয়ার হোসেনের ছেলে মো. মনজুর আলম।

আরও পড়ুন: ঘুরে ঘুরে মোটরসাইকেল চুরি করে ৫ যু্বক, নম্বরপ্লেট খুলে পাল্টে ফেলে ইঞ্জিন—চেসিস

কাজির দেউড়ি আউটার স্টেডিয়াম এলাকার এই রেস্টুরেন্টের আগে ১ নম্বর আসামি মো. জসিম চট্টগ্রামের মুরাদপুর—বহদ্দারহাট সড়কে একটি নামী রেস্টুরেন্টে চায়ের কারিগর ছিলেন। ২ নম্বর আসামি মনজুর আলম কুটুমবাড়িতে পরোটার কারিগর হিসেবে কাজ করতেন। এরপর নানা অপকর্মে জড়িয়ে পড়ায় তারা চাকরিচ্যুত হয় বলে জানা গেছে।

সিএমপির কোতোয়ালী থানা সূত্রে জানা যায়, ওই রেস্টুরেন্টে মো. জসিম চায়ের কারিগর হিসেবে গত বছরের ২৭ জুন এবং মো. মনজুর আলম পরোটার কারিগর হিসেবে একই বছরের ২০ অক্টোবর যোগ দিয়েছিলেন। তাঁরা নগরের নূর আহমেদ সড়কের এসএ পরিবহনের লাগোয়া একটি ভবনে রেস্টুরেন্টের স্টাফ বাসায় থাকতেন।

আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে চোরাই পণ্য মামলার আসামির রমরমা ব্যবসা, হাতিয়ার—নগর পুলিশের সঙ্গে চুুক্তি 

গত ২২ ফেব্রুয়ারি ওই বাসা থেকে জসিম ওই প্রতিষ্ঠানের সিইও’র ২৭ হাজার টাকার দামের মোবাইল সেট, প্রতিষ্ঠানের পার্সেস স্টাফের পকেটে থাকা বাজারের ২৮ হাজার টাকা এবং অগ্রিম জামানতের টাকাসহ বিয়াল্লিশ হাজার টাকা নিয়ে সটকে পড়েন।

এদিকে মনজু ওই বাসা থেকে ম্যানেজারের ৩২ হাজার টাকা দামের স্যামসাং গ্যালাক্সি নোট এইট মডেলের একটি মোবাইল সেট এবং ম্যানেজারের পকেটে থেকে সাত হাজার ছয়শ টাকা চুরি করে আনুমানিক ভোর সাড়ে ৫টার দিকে পালিয়ে যান।

এসি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!