ঘুরে ঘুরে মোটরসাইকেল চুরি করে ৫ যু্বক, নম্বরপ্লেট খুলে পাল্টে ফেলে ইঞ্জিন—চেসিস

মোটরসাইকেল চোরচক্রের ৫ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে হালিশহর থানা পুলিশ। তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে ৯টি চোরাই মোটরসাইকেল।

নগরের হালিশহর, সীতাকুণ্ড ও কুমিল্লার দুই এলাকায় টানা তিনদিনের অভিযানে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তার পাঁচজন হলেন- মো. আলমগীর হোসেন (৩৭), নাহিদুল ইসলাম (২০), মো. মান্নান (৩৫), বাবলু মিয়া (৩৪) ও আব্দুল মালেক ওরফে সোহাগ (২৫)।

আরও পড়ুন: কাভার্ডভ্যান থেকে চুরি করে কুরিয়ারে বুকিং দিতে গিয়ে ধরা খেল ৩ চোর

২৩ ফেব্রুয়ারি নগরের হালিশহর থেকে একটি চোরাই মোটরসাইকেলসহ আলমগীর ও নাহিদকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাদের দেওয়া তথ্যে ২৪ ফেব্রুয়ারি কুমিল্লার নাঙ্গলকোট থেকে তিনটি চোরাই মোটর সাইকেলসহ গ্রেপ্তার করা হয় মান্নানকে। একই সময়ে ৪টি চোরাই মোটরসাইকেলসহ পুলিশের জালে ধরা পড়ে বাবলু মিয়া। ২৫ ফেব্রুয়ারি সীতাকুণ্ডে অভিযান চালিয়ে আরও একটি মোটরসাইকেলসহ সীতাকুণ্ড থেকে গ্রেপ্তার করা হয় সোহাগকে।

শনিবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান চট্টগ্রাম নগর পুলিশের উপ-কমিশনার (পশ্চিম) আব্দুল ওয়ারিশ।

পুলিশের উপ-কমিশনার (পশ্চিম) আব্দুল ওয়ারিশ বলেন, পাঁচ মাস আগে একটি মোটরসাইকেল চুরির ভিডিও ফুটেজ দেখে দুই চোরকে শনাক্ত করে পুলিশ। তাদের ধরার পর টানা তিনদিন চট্টগ্রাম ও কুমিল্লায় অভিযান চালিয়ে চক্রের আরও তিন সদস্যকে গ্রেপ্তার করে উদ্ধার করা হয় নয়টি মোটর সাইকেল।

তিনি আরও বলেন, চক্রটির সঙ্গে ১৫-২০ জন জড়িত। ভুয়া পরিচয়ে চট্টগ্রামে বাসা ভাড়া নিয়ে বিভিন্ন স্থানে ঘুরে ঘুরে মোটরসাইকেল চুরি করত।

আরও পড়ুন: ওষুধ চুরি—চট্টগ্রাম মেডিকেলের ওষুধ চোর ধরে পুরস্কার পেল পুলিশ

হালিশহর থানার ওসি মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী জানান, ২৩ ফেব্রুয়ারি হালিশহর এলাকা থেকে আলমগীর ও নাহিদকে, ২৪ ফেব্রুয়ারি কুমিল্লার নাঙ্গলকোট থেকে মান্নানকে এবং একইদিন ধরা হয় বাবলু মিয়াকে। এরপর ২৫ ফেব্রুয়ারি সীতাকুণ্ডে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করা হয় সোহাগকে। টানা তিনদিনের অভিযানে তাদের কাছ থেকে ৯টি চোরাই মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়।

তিনি আরও বলেন, চক্রটি মোটরসাইকেল চুরি করে নম্বরপ্লেট খুলে ফেলে এবং ইঞ্জিন ও চেসিস নম্বর ঘষামাজা করে পাল্টে ফেলে। পরে সেগুলো বিভিন্ন স্থানে বিক্রি করে দেয়।

আরবি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!