৪০ লাখ টাকা মেরে পিবিআইয়ের জালে ধরা চসিক ‘কাউন্সিলর’ মানিক

অর্থ আত্মসাতের মামলায় লালখানবাজার ওয়ার্ডের সাবেক কমিশনার এএফ কবির আহমদ মানিকের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।

বুধবার (২৬ অক্টোবর) চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সাদ্দাম হোসেনের আদালত শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।

মামলায় অভিযুক্তরা হলেন- এএফ কবির আহমদ মানিক (৫৫) এবং তাঁর বড় ভাই মৃত এএন ফারুক আহমদ। তাঁরা নগরের খুলশী থানার লালখানবাজার সামছি কলোনি এলাকার মৃত মকবুল আহাম্মদের ছেলে।

আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০১৮ সাল লালখানবাজার এলাকার ওষুধ ব্যবসায়ী রাজন দত্ত (৩৩) চারটি দোকানের সালামির ৪০ লাখ টাকা বিভিন্ন সময় চেক ও নগদে দেন অভিযুক্তদের। এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংকের চেকের মাধ্যমে গত বছরের ১৯ মার্চ তারিখে ২৫ লাখ টাকা, ৮ মে একই ব্যাংকের আরেকটি চেকে ১০ লাখ টাকাসহ বিভিন্ন সময় দফায় দফায় নগদ আরও ৫ লাখ টাকা নেন সাবেক কাউন্সিলর মানিকসহ তাঁর বড় ভাই ফারুক।

আরও পড়ুন: ইয়াবা বেচে কোটিপতি আনোয়ার ধরা খেল পিবিআইয়ের জালে

কিন্তু টাকার নেওয়ার পরও দোকান হস্তান্তর না করে উল্টো লেনদেনের বিষয়টি পুরোপুরি অস্বীকার করে আসছিলেন অভিযুক্ত দুভাই। পরে একই বছরের ২১ নভেম্বর অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে নগরের খুলশী থানায় মামলা করলে আদালত মামলার তদন্তের দায়িত্বভার দেন পুলিশ ব্যুরো অব ইভেস্টিগেশনকে (পিবিআই)।

এ বিষয়ে বাদীপক্ষের আইনজীবী স্বপন রায় আলোকিত চট্টগ্রামকে বলেন, তদন্ত শেষে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা পায় পিবিআই। এরপর আসামিদের আদালতে উপস্থিত থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয় । কিন্তু নির্দিষ্ট তারিখে আদালতে উপস্থিত না হওয়ায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত। আগামী বছরের ৯ জানুয়ারি পরবর্তী শুনানির জন্য দিন ধার্য করা হয়েছে।

আইনজীবী স্বপন রায় আরও বলেন, চলতি বছরের ৬ এপ্রিল আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করে পিবিআই। সেই প্রতিবেদনের ভিত্তিতে গত ২৫ জুলাই আসামিদের বিরুদ্ধে সমন জারি করেন আদালত। গত ১৬ অক্টোবর অভিযুক্তদের আদালতে উপস্থিত থাকার দিন ধার্য থাকলেও সেদিন তারা আদালতে হাজির হননি। এরপর আদালত দুজনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।

প্রসঙ্গত, এএফ কবির আহমদ মানিকের বড় ভাই ইঞ্জিনিয়ার এএন ফারুক আহমদ গত ১২ অক্টোবর মারা যান।

আরএস/আরবি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!