দুধ খেতে চাওয়ায় তামিমকে গলাটিপে খুন করে বস্তা মুড়িয়ে রাখে ভাবি

দুধ খেতে চাওয়ায় ৪ বছর বয়সী দেবরকে বৈদ্যুতিক শক ও গলাটিপে হত্যা করায় ভাবী ইয়াছমিন আক্তারকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এছাড়া এ মামলায় অপর এক নারীকে খালাস দেওয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) চট্টগ্রাম দ্বিতীয় অতিরিক্ত দায়রা জজ মো. সরওয়ার আলম এ রায় দেন।

দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি ইয়াছমিন আক্তার সাতকানিয়া উপজেলার দক্ষিণ কাঞ্চনার বাসিন্দা ইসমাইলের মেয়ে ও নিহতের বড় ভাই মেজবাহ উদ্দিনের স্ত্রী।

বিষয়টি নিশ্চিত করে জেলা পিপি অ্যাড. শেখ ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী আলোকিত চট্টগ্রামকে বলেন, ১৮৬০ সালের দণ্ডবিধির ৩০২ ধারার অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় আসামি ইয়াছমিন আক্তারকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দেন আদালত। এছাড়া দণ্ডবিধির ২০১ ধারার অভিযোগ সন্দেহতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় আরও ২ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। উভয় দণ্ড একইসঙ্গে কার্যকর হবে বলেও রায়ে উল্লেখ করা হয়েছে।

আরও পড়ুন : চট্টগ্রামে স্বামীকে খুন করে পালিয়েছে বউ, আদালত দিলেন দণ্ড

মামলার অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, ২০১২ সালের ৫ নভেম্বর বিকেলে প্রবাসীর স্ত্রী ইউপি সদস্য আয়েশা বেগম সাতকানিয়া উপজেলার ফুলতলা বাজারে একটি অনুষ্ঠানে যান। এসময় ইয়াছমিন আক্তারের কাছে তামিমকে রেখে যান তিনি। এরপর সন্ধ্যায় ঘরে ফিরে তামিমকে না দেখে পুত্রবধূর কাছে জানতে চাইলে তিনি জানেন না বলে জানান।

পরদিন ৬ নভেম্বর সারাদিন খোঁজ করার পর না পেয়ে ৭ নভেম্বর থানায় জিডি করা হয়। সেদিন দুপুর ৩টায় ইয়াসমিন আক্তারের ঘর থেকে দুর্গন্ধ পেয়ে সন্দেহ হলে সেই ঘরে গিয়ে দেখা যায়, মাচার ওপর থেকে রক্তের ফোঁটা নিচে পড়ছে। পরে ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।

এ ঘটনায় ৮ নভেম্বর সাতকানিয়া থানায় মামলা করা হয়। মামলার জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, ৫ নভেম্বর ভাবির কাছে দুধ খাওয়ার বায়না ধরে শিশু রাশেদুল শিকদার তামিম। এক কাপ দুধ খাওয়ার পর আবার দুধ চাইলে ইয়াছমিন ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে লাঠি দিয়ে মারে। এরপর তাকে শোবার ঘরে নিয়ে বৈদ্যুতিক শক দেয়। পরে গলা টিপে মৃত্যু নিশ্চিত করে। লাশ লুকাতে সাদা প্লাস্টিকের বস্তা মুড়িয়ে ঘরের মাচার উপর রেখে দেয়।

আরএস/আরবি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!