চকরিয়ায় চেয়ারম্যানকে ধরতে গিয়ে মার খেল পুলিশ

চকরিয়ায় ইউপি চেয়ারম্যান নবী হোছাইন প্রকাশ নইব্যা চোরাকে গ্রেপ্তার করতে গেলে চেয়ারম্যানের লোকজনের হামলায় চার পুলিশ সদস্য রক্তাক্ত হয়েছেন। এসময় পাঁচজনকে ঘটনাস্থলে থেকে আটক করা হয়। তবে ওইসময় কৌশলে পালিয়ে যান চেয়ারম্যান নবী হোছাইন। পরে হামলার ঘটনায় মামলা করে পুলিশ।

সোমবার (২৯ জানুয়ারি) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা থেকে রাত সাড়ে ১১টা পর্যন্ত টানা চার ঘণ্টা উপজেলার সাহারবিল ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের কোরালখালীর চেয়ারম্যান বাড়িতে অভিযানের সময় এ ঘটনা ঘটে।

এদিকে পুলিশের ওপর হামলায় ঘটনায় ২৪ জনের নাম উল্লেখসহ ৮৪ জনকে আসামি করে মামলা করা হয়েছে। মামলার প্রধান আসামি করা হয়েছে ইউপি চেয়ারম্যান নবী হোছাইনকে।

আরও পড়ুন : চকরিয়ায় চেয়ারম্যানের চাঁদা দাবি—মামলা নিতে থানাকে নির্দেশ

গ্রেপ্তাররা হলেন— চকরিয়া উপজেলার সাহারবিল ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের কোরালখালী এলাকার টুক্কু মিয়ার ছেলে মো. আরমান হোসেন (১৯) ও মোস্তফা কামাল (২৫), একই ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের বিএমচর এলাকার মোজাম্মেল হকের ছেলে নুরশেদুল ইসলাম ছোটন ( ২০), একই ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের শাহপুরা এলাকার সিব্বির আহমদের ছেলে জয়নাল উদ্দিন (৪২) এবং একই ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের মৃত সোনা মিয়ার ছেলে আমির হোসেন (৪৫)।

আহত পুলিশ সদস্যরা হলেন— এসআই মিজানুর রহমান (৪০), এসআই মো. আল ফোরকান (৪৫), কনস্টেবল ছাদরুল আমিন (৩৭) ও কনস্টেবল রাজু আহমদ (২৫)। আহত চার পুলিশের মধ্যে তিনজন প্রাথমিক চিকিৎসা নিলেও মাথায় গুরুতর আহত হওয়ায় ছাদরুল আমিনকে চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।

জানা যায়, সাহারবিল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নবী হোছাইন বিরুদ্ধে চকরিয়াসহ বিভিন্ন থানায় ১৩টি মামলা রয়েছে। এর মধ্যে দুটি মামলায় তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা রয়েছে।

যোগাযোগ করা হলে চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আলী আলোকিত চট্টগ্রামকে বলেন, চেয়ারম্যান নবী হোছাইনের বিরুদ্ধে দুটি মামলায় পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। তাকে গ্রেপ্তারে বাড়িতে অভিযান চালানো হয়। এসময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে চেয়ারম্যানের লোকজন বাধা দেওয়ার চেষ্টা করে এবং ছাদ থেকে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেন। পরে ঘটনাস্থল থেকে পাঁচজনকে আটক করা হয়। তবে পরোয়ানার আসামি নবী হোছাইন কৌশলে পালিয়ে যাওয়ায় তাকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি।

ওসি আরও বলেন, পুলিশের কাজে বাধা ও হামলার অভিযোগে ২৪ জনের নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাত আরও ৫০-৬০ জনকে আসামি করে থানায় মামলা করা হয়েছে। আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

এমকেডি/আরবি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!