নতুন নিয়মে চলবে বাংলাদেশ, রাত ৮টার পর চট্টগ্রামে যা খোলা, যা বন্ধ

আগামীকাল সোমবার (২০ জুন) থেকে রাত ৮টার পর দোকান বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত কার্যকর হচ্ছে। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বৈশ্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় বিশ্বব্যাপী জ্বালানির দাম বৃদ্ধির কারণে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সাশ্রয়ে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।

রোববার (১৯ জুন) সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত বৈঠক শেষে গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মুন্নুজান সুফিয়ান। ফলে কাল থেকে রাত আটটার পর দোকান, শপিংমল, মার্কেট ও কাঁচাবাজার বন্ধ হয়ে যাবে।

আরও পড়ুন : সকালের স্বস্তি বিকেলেই উধাও, আবারও ডু্বল চট্টগ্রাম

এর আগে গত ১৬ জুন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় একটি অনুশাসন দিয়েছিল। অনুশাসনে বলা হয়, ‘বিশ্বব্যাপী জ্বালানির দাম বৃদ্ধির কারণে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সাশ্রয় করা দরকার। এ কারণেই রাত আটটার পর দোকানপাট বন্ধ রাখতে হবে। সেই অনুশাসন বাস্তবায়নে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন শ্রম প্রতিমন্ত্রী।

বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬-এর ১১৪ ধারার বিধান কঠোরভাবে প্রতিপালনে প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত নিতে এই বৈঠকটি আহ্বান করা হয়। শ্রম আইনের ওই ধারায় বলা রয়েছে, ‘দোকান বা বাণিজ্য বা শিল্প প্রতিষ্ঠান প্রতি সপ্তাহে অন্তত দেড় দিন সম্পূর্ণ বন্ধ রাখতে হবে; কোন এলাকায় কোন প্রতিষ্ঠান কোন দেড় দিন সম্পূর্ণ বন্ধ থাকবে, তা প্রধান পরিদর্শক নির্ধারণ করবেন। তাছাড়া কোনো দোকান, কোনোদিন রাত আটটার পর খোলা রাখা যাবে না।
ধারা অনুযযায়ী ডক, জেটি, স্টেশন অথবা বিমান বন্দর এবং পরিবহন সার্ভিস টার্মিনাল অফিস খোলা থাকবে। তরি-তরকারি, মাংস, মাছ, দুগ্ধ জাতীয় সামগ্রী, রুটি, পেস্ট্রি, মিষ্টি এবং ফুল বিক্রির দোকান এ আদেশের আওতামুক্ত থাকবে। প্রয়োজনীয় ওষুধ, অপারেশন সরঞ্জাম, ব্যান্ডেজ অথবা চিকিৎসা সংক্রান্ত সামগ্রীর দোকান, দাফন ও অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া সম্পাদনের দোকান খোলা থাকবে।

এছাড়া তামাক, সিগারেট, পান-বিড়ি, বরফ, খবরের কাগজ, সাময়িকী বিক্রির দোকান, এবং দোকানে বসে খাওয়ার জন্য হালকা নাশতা বিক্রির খুচরা দোকান, খুচরা পেট্রোল বিক্রির জন্য পেট্রোল পাম্প এবং মেরামত কারখানা নয় এমন মোটরগাড়ির সার্ভিস স্টেশন খোলা রাখা যাবে।

যেকোনো শিল্প, ব্যবসা বা প্রতিষ্ঠান যা জনগণকে শক্তি, আলো-অথবা পানি সরবরাহ করে, নাপিত এবং কেশ প্রসাধনীর দোকান, যেকোনো ময়লা নিষ্কাশন অথবা স্বাস্থ্য ব্যবস্থা, ক্লাব, হোটেল, রেস্তোরাঁ, খাবার দোকান, সিনেমা অথবা থিয়েটার খোলা রাখা যাবে।

আরও পড়ুন : চট্টগ্রামে পাহাড়ধসে মরছে মানুষ, তবু চলছে পাহাড় বেচাকেনা

এদিকে আসন্ন কোরবানির ঈদ উপলক্ষে আগামী জুলাইয়ের প্রথম দশ দিন রাত ১০টা পর্যন্ত দোকান খোলা রাখা যাবে কি-না তা বিবেচনায় নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতি।

আরএস/আলোকিত চট্টগ্রাম

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!