চট্টগ্রামে উল্টো রথযাত্রায় বর্ণিল আয়োজন

আন্তর্জাতিক কৃষ্ণভাবনামৃত সংঘ (ইসকন) চট্টগ্রাম আয়োজিত ২৬তম কেন্দ্রীয় উল্টো রথযাত্রা উৎসব বর্ণিল আয়োজনে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার (২৮ জুন) সকাল ৯টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত ছিল নানা আয়োজন। এদিন দুপুর ৩টায় বের করা হয় মহাশোভাযাত্রা। এটি গৌর নিতাই আশ্রম প্রাঙ্গণ থেকে শুরু হয়ে নগরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে নন্দনকানন রাধামাধব মন্দিরে এসে শেষ হয়। এতে চট্টগ্রামের বিভিন্ন উপজেলা থেকে লক্ষাধিক ভক্ত ব্যানার, প্ল্যাকার্ড, ফেস্টুন, পৌরাণিক সাজ ও বাদ্যযন্ত্র নিয়ে অংশ নেয়।

এর আগে ডিসি হিল প্রাঙ্গণে আয়োজন করা হয় ধর্মীয় মহাসম্মেলন। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল। এতে সভাপতিত্ব করেন নন্দনকানন ইসকন মন্দিরের অধ্যক্ষ পণ্ডিত গদাধর দাস ব্রহ্মচারীর।

আরও পড়ুন: চট্টগ্রামজুড়ে বর্ণিল রথযাত্রা উৎসব

তারণ নিত্যানন্দ দাস ব্রহ্মচারীর সঞ্চালনায় রথযাত্রায় মহান আশির্বাদক ছিলেন ইসকনের হেডকোয়ার্টার ভারত মায়াপুরের অন্যতম সন্যাসী শ্রীমৎ ভক্তি দয়িত আদি পুরুষ স্বামী মহারাজ। উদ্বোধক ছিলেন নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন। প্রধান বক্তা ছিলেন চট্টগ্রাম জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এটিএম পেয়ারুল ইসলাম।

বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন কাউন্সিলর প্রফেসর ড. নিছার উদ্দিন আহমেদ মন্জু, কাউন্সিলর জহরলাল হাজারী, চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক দেবদুলাল ভৌমিক, ফটিকছড়ি উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান ছালামত উল্লাহ চৌধুরী শাহীন, নানুপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শফিউল আযম, জন্মাষ্টমী পরিষদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী আশুতোষ দাশ, দক্ষিণ জেলা হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের লায়ন সন্তোষ কুমার নন্দী, নগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহসভাপতি সুজিত দাশ, যুবলীগ নেতা সঞ্জয় ভৌমিক কংকন, মহিলা কাউন্সিলর রুমকী সেনগুপ্ত এবং মহানগর পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক হিল্লোল সেন উজ্জ্বল।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন নন্দনকানন ইসকন মন্দিরের যুগ্ম সম্পাদক মুকুন্দ ভক্তি দাস ব্রহ্মচারী। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন নন্দনকানন ইসকন মন্দিরের সহসভাপতি অকিঞ্চন গৌর দাস ব্রহ্মচারী, সুবল সখা দাস ব্রহ্মচারী ও অপূর্ব মনোহর দাস ব্রহ্মচারী।

আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে উৎসবের রথযাত্রায় ভক্তের ঢল

প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বলেন, চট্টগ্রামে আমরা একসঙ্গে আনন্দ-উৎসব করবো। পবিত্র ঈদে ও রথযাত্রার উৎসবে একসঙ্গে সামিল হবো। চট্টগ্রামে কোনো সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাসীর জায়গা হবে না। এটাই আমাদের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি।

উদ্বোধক আ জ ম নাছির উদ্দিন বলেন, বিশ্বে বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ হিসেবে পরিচিত। প্রত্যেক ধর্মের মানুষ স্ব-স্ব ধর্ম পালন করলেও উৎসবের আনন্দ সব ধর্মের মানুষ একসঙ্গে উদযাপন করে। প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা বলেছেন, ধর্ম যার যার, উৎসব সবার।মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দেশকে এগিয়ে নিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বারবার মৃত্যুর মুখে পড়তে হয়েছে। ২১ আগস্টে গ্রেনেড হামলাও তাঁর ওপর করা হয়েছে। ওই চক্রই বাংলাদেশকে জঙ্গিবাদ রাষ্ট্র হিসেবে কায়েম করতে চায়। এসব জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে হবে সবাইকে।

আরবি/আলোকিত চট্টগ্রাম

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!