বায়েজিদের রূপনগর আবাসিকে তরুণীদের বানানো হয় রূপজীবী

ফেনীর পরশুরাম থেকে চাকরির জন্য চট্টগ্রামে এসে বহাদ্দারহাটে এক নারীর সঙ্গে পরিচয় হয় আরাফাতুল ইসলাম নামে এক যুবকের। আরাফাত তাঁকে চাকরি দেওয়ার কথা বলে নিয়ে যান বায়েজিদ থানার রুপনগর আবাসিক এলাকায়। পরে সেখানে আটক রেখে তাঁকে বাধ্য করা হয় পতিতাবৃত্তিতে। তবে শেষ রক্ষা হয়নি। পুলিশের জালে আটকা পড়েছে চক্রের ৪ জন।

বুধবার (১ এপ্রিল) রাত ২টার দিকে বায়েজিদ থানার রুপনগর আবাসিক ১ নম্বর গলির কাপ ভবন থেকে তাদের আটক করা হয়।

আটকরা হলেন— বাঁশখালী থানার কালিপুর ইউনিয়নের দেওয়ান আলী মাঝির বাড়ীর দেলোয়ার হোসেনের ছেলে আরাফাতুল ইসলাম (৩০), রাউজান উপজেলার নোয়াপাড়া বৌদ্ধপাড়া মাস্টার বাড়ি এলাকার ফারজানা বেগম (৩০), কক্সবাজার জেলার মগনমা ইউনিয়নের ফতইল্যারপাড়ার মজিবর রহমানের ছেলে আবু ওমর (৩২) ও মো. আনসার (৩৫)। আটকদের মধ্যে আরাফাতুল ইসলাম ও ফারজানা বেগম স্বামী-স্ত্রী।

আরও পড়ুন : চট্টগ্রামে আবাসিকেই দেহ ব্যবসা চলে তরুণীদের চাকরির টোপ—ফাঁদে ফেলে

জানা গেছে, উদ্ধার হওয়া নারী ১৯ এপ্রিল চাকরির জন্য ফেনীর পরশুরাম থেকে চট্টগ্রামে আসেন। এসময় বহদ্দারহাট এলাকায় আরাফাতুল ইসলামের সঙ্গে তাঁর পরিচয় হয়। পরে আরফাত তাঁকে বায়েজিদ থানার রুপনগর আবাসিক ১ নম্বর গলি কাপ ভবনের ছয় তলায় নিয়ে যান। বাসায় নিয়ে আরাফাতুল ও তাঁর স্ত্রী ফারজানা বেগম তাঁকে জোরপূর্বক পতিতাবৃত্তিতে বাধ্য করেন। পরে গোপন সংবাদে ভুক্তভোগী দুনারীকে উদ্ধার ও জড়িত চারজনকে আটক করে পুলিশ।

অভিযানে নেতৃত্ব দেওয়া বায়েজিদ থানার এসআই আজহারুল ইসলাম আলোকিত চট্টগ্রামকে বলেন, চক্রটি অসহায় মেয়েদের চাকরির কথা বলে কৌশলে বাসায় নিয়ে গিয়ে জোরপূর্বক পরিবৃত্তিতে বাধ্য করে। অভিযানে দুনারীকে উদ্ধারসহ অভিযুক্ত ৪ জনকে আটক করা হয়েছে।

সিএম/আরবি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!