চকবাজারের কলেজছাত্রীকে ব্ল্যাকমেল, যুবকের জেল ৭ বছর

নগরে কলেজছাত্রীর করা পর্নোগ্রাফি মামলায় শচিন বড়ুয়া (৩০) নামের এক যুবককে ৭ বছরের কারাদণ্ড ও তিন লাখ টাকা অর্থদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

রোববার (২০ নভেম্বর) অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মু. আব্দুল হালিমের আদালত এ রায় ঘোষণা করেন।

দণ্ডপ্রাপ্ত শচীন বড়ুয়া রাউজান ৯ নম্বর পাহাড়তলী ইউনিয়নের রতন কান্তি বড়ুয়ার ছেলে। বর্তমানে তিনি নগরের পাহাড়তলী ফিরোজশাহ আলী আজম সড়ক নুরবাগ আবাসিক এলাকার বাসিন্দা।

বিষয়টি নিশ্চিত করে আদালতের নাজির আবুল কালাম আজাদ আলোকিত চট্টগ্রামকে বলেন, চকবাজার থানায় করা পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইন ২০১২ এর ৮(২) ধারায় পাঁচ বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও দুই লাখ টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও এক বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড এবং পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইন ২০১২ এর ৮(৩) ধারায় দুই বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও এক লাখ টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।

আরও পড়ুন: ধনীদের টার্গেট করে ঘুরে বেড়াত, দিনশেষে আস্তানায় নিয়ে নারী দিয়ে ‘ব্ল্যাকমেল’

নাজির আরও বলেন, অর্থদণ্ড ক্ষতিপূরণ হিসেবে ভিকটিমকে দেওয়া হবে। সাজা একটির পর আরেকটি কার্যকর হবে। রায় ঘোষণার পর আসামিকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া আসামির বিচারাধীন হাজতবাস দণ্ডাদেশ থেকে বাদ যাবে।

রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন এপিপি গোবিন্দ নারায়ণ রায়।

আদালত সূত্র জানা যায়, ২০২০ সালের ৪ মার্চ সামিয়া (ছদ্মনাম) নামের এক কলেজছাত্রীকে হোয়াটসঅ্যাপে ব্যক্তিগত কিছু ছবি পাঠান এক আগন্তুক। পরে ২০ হাজার টাকা দাবি করেন। টাকা না দিলে তার ছবিগুলো ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেওয়ারও হুমকি দেওয়া হয়। পরে চকবাজারের আঁচল ছাত্রী নিবাসে রুমমেটদের সঙ্গে বিষয়টি শেয়ার করলে তারা মামলার পরামর্শ দেয়।

এরপর ঘটনার পরদিন ৫ মার্চ চকবাজার থানায় পর্নোগ্রাফি আইনে মামলা করেন ওই কলেজছাত্রী। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ২০২১ সালের ১ জানুয়ারি শচিন বড়ুয়াকে আসামি করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। ২০২২ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি চার্জ গঠন করে বিচারিক কার্যক্রম শুরুর নির্দেশ দেন আদালত। এতে রাষ্ট্রপক্ষের সাতজন আসামির বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দেন।

আরএস/আরবি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!