কক্সবাজারে গণধর্ষণ—রিমান্ডে আশিক, পলাতক মেহেদি গ্রেপ্তার

কক্সবাজার বেড়াতে আসা নারী পর্যটককে গণধর্ষণের মূলহোতা আশিকুল ইসলাম আশিকের তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

মঙ্গলবার (৪ জানুয়ারি) বেলা ১২টার দিকে কক্সবাজারের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক আবুল মনসুর সিদ্দিকি শুনানি শেষে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

ট্যুরিস্ট পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মহিউদ্দীন আলোকিত চট্টগ্রামকে বলেন, রোববার আশিককে কক্সবাজার কারাগারে আনার পর সোমবার দুপুরে তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৭ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে আবেদন করে পুলিশ। আদালত মঙ্গলবার শুনানি শেষে তিনদি‌নের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

আরও পড়ুন: কক্সবাজারে গণধর্ষণ—ভিকটিম একেক সময় একেক কথা বলছেন, আশিকের রিমান্ড চায় পুলিশ

এদিকে মামলায় এজাহারভুক্ত পলাতক আরেক আসামি মেহেদী হাসান বাবুকে (২৫) গ্রেপ্তার করেছে কক্সবাজার ট্যুরিস্ট পুলিশ। সোমবার (৩ জানুয়ারি) রাত সাড়ে ৮ টার দিকে কক্সবাজার খুরুশকুলের রুহুলার ডেইল পাহাড়ি এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। কক্সবাজার ট্যুরিস্ট পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মহিউদ্দিন আহমেদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

গ্রেপ্তার মেহেদী হাসান বাবু কক্সবাজার শহরের বাহারছড়া এলাকার আবুল কাশেমের ছেলে। এ নিয়ে মামলার এজাহারভুক্ত চার আসামিসহ মোট সাতজনকে গ্রেপ্তার করা হলো।

প্রসঙ্গত, গত ২২ ডিসেম্বর বিকেলে স্বামী ও ৮ মাসের শিশুসন্তানের সঙ্গে কক্সবাজার বেড়াতে যান ওই নারী। সৈকতের বালুচর দিয়ে হেঁটে পানির দিকে নামার সময় তাঁর স্বামীর সঙ্গে সামান্য ধাক্কা লাগে আশিকের। এর জেরে সন্ধ্যায় পর্যটন গলফ মাঠ এলাকা থেকে ওই নারীকে তুলে নিয়ে প্রথমে একটি চায়ের দোকানে এবং পরে কলাতলীর এক হোটেলে নিয়ে আশিকের নেতৃত্বে কয়েকজন তাকে গণধর্ষণ করেন।

এরপর ২৩ ডিসেম্বর রাতে ওই নারীর স্বামী বাদী হয়ে কক্সবাজার সদর মডেল থানায় আশিক (২৮), মো. বাবু (২৫), ইসরাফিল হুদা (২৮), রিয়াজ উদ্দিন (৩০), অজ্ঞাত আরও তিনজনসহ সাতজনের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন।

বলরাম/আরবি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!