বাঁশখালীতে শ্যালিকার সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্ক ও মুঠোফোনে অশ্লীল ছবি এবং ভিডিও ধারণ করে বারবার বিয়ে ভেঙে দিচ্ছিলেন দুলাভাই। এ অবস্থায় শ্বশুরের মামলায় গ্রেপ্তার হয়েছেন সেই দুলাভাই। এসময় তাঁর ব্যবহৃত মুঠোফোনটি জব্দ করা হয়।
শনিবার (২৪ জুন) সকালে সরল ইউনিয়নের মিনজিরিতলা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
গ্রেপ্তার আব্দুল আজিজ (৩২) সরল ইউনিয়নের মিনজিরিতলা গ্রামের মৃত নুরুল আলমের ছেলে।
পুলিশ জানায়, আব্দুল আজিজের শ্বশুর বড় মেয়ের জামাই আব্দুল আজিজের বিরুদ্ধে পর্নোগ্রাফি আইনে মামলা করেন। ওই মামলায় সাক্ষী করা হয় আজিজের স্ত্রী ও শাশুড়িকে। মামলার পর তাকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন : ফেসবুকে নারীর ভুয়া আইডিতে অশ্লীল পোস্ট, নেপথ্যে পারিবারিক বিরোধ
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, আব্দুল আজিজ বিয়ের পর থেকে বেপরোয়া জীবনযাপন করতেন। ইয়াবাসহ একবার গ্রেপ্তার হলেও শ্বশুরবাড়ির লোকজন তাকে জামিনে এনে পৌরসভার উত্তর জলদি হাড্ডি মার্কেট এলাকায় ভাড়া বাসায় রাখেন। শ্বশুরবাড়ি উত্তর জলদী ভাদালিয়া হলেও তারাও পৌরসদরের একই জায়গায় বসবাস করতেন। এই সুযোগে শ্যালিকার সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্ক তৈরি করেন দুলাভাই আজিজ।
এরপর শ্যালিকার অশ্লীল ছবি এবং ভিডিও ধারণ করেন আজিজ। শ্যালিকার বিয়ে ঠিক হলে অশ্লীল ছবি-ভিডিও দেখিয়ে বারবার বিয়ে ভেঙে দেন তিনি। এ আজিজকে একাধিকবার এসব না করার অনুরোধ করেন শ্বশুর-শ্বাশুড়ি। কিন্তু আজিজ কারো কথা শুনছিলেন না। সর্বশেষ শনিবারও একই ঘটনা করলে শ্বশুর থানায় খবর দেয়। এরপর পুলিশ এসে আব্দুল আজিজকে আটক করে। এসময় তার কাছে থাকা শ্যালিকার অশ্লীল ছবি এবং ভিডিওসহ মোবাইল ফোন জব্দ করে।
যোগাযোগ করা হলে বাঁশখালী থানার এসআই রাজীব পোদ্দার আলোকিত চট্টগ্রামকে বলেন, আব্দুল আজিজের বিরুদ্ধে পর্নোগ্রাফি আইনে মামলার পর আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
ইউবি/আরবি