পুলিশকে বোকা বানাতে ‘নাম পাল্টিয়েও’ ১০ মামলার আসামি হারু

নগরে ২ হাজার ২০০ পিস ইয়াবাসহ শহিদুল ইসলাম শহীদ (৪৮) নামের এক মাদক কারবারীকে আটক করে মহানগর গোয়েন্দা পশ্চিম বিভাগ। আটকের পর বেরিয়ে আসে তার একাধিক নামের তালিকা। তার ভিন্ন ভিন্ন নামে রয়েছে ছিনতাই, খুনসহ প্রায় ডজনখানেক মামলা। সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামিও তিনি।

বুধবার (১ জুন) গোপন সংবাদে নগরের অক্সিজেন মোড় এলাকা থেকে ইয়াবাসহ তাকে আটক করা হয়। আটকের পর তার বিরুদ্ধে মাদক আইনে মামলা হয় বায়েজিদ থানায়।

আরও পড়ুন: ফেসবুকে চাকসু ভিপিকে কটূক্তি—মামলার আসামি ছাত্রদল নেতাসহ ১৬

বৃহস্পতিবার (২ জুন) পঞ্চম মহানগর হাকিম সাদ্দাম হোসেনের আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

জানা গেছে, আটক শহিদুল ইসলাম শহীদ বিভিন্ন এলাকায় হারাধন চৌধুরী হারু ও আপেল মিন্টু (৪৮) নামে বেশি পরিচিত। তিনি বোয়ালখালী পশ্চিম শাকপুরা ইউনিয়নের দারোগা বাড়ির মদনমোহন চৌধুরীর ছেলে। বায়েজিদ থানাধীন বালুচরা টাইগার রোড এলাকার ডাক্তারের বিল্ডিংয়ের দ্বিতীয়তলায় তিনি বসবাস করেন।

এ বিষয়ে মহানগর গোয়েন্দা পশ্চিম বিভাগের উপপরিদর্শক রবিউল ইসলাম আলোকিত চট্টগ্রামকে বলেন, ‘মাদকসহ আটকের সময় আসামির নাম ছিল শহিদুল ইসলাম শহীদ। পরে তার জীবনবৃত্তান্ত পর্যালোচনা করে দেখা যায়, বিভিন্ন অপরাধে ভিন্ন ভিন্ন নাম ব্যবহার করেছে সে। ভিন্ন নামে মামলা থাকলেও তার ছবি যাচাইয়ের সময় বের হয় আসল পরিচয়। একসমসয় সে আপেল বিক্রয় করত। সেই সময় ছিনতাই, ডাকাতি কাজে জড়িত ছিল। তখন তার নাম ছিল হারাধন চৌধুরী হারু। পরে হয়ে যায় আপেল মিন্টু। এরপর জড়িয়ে পড়ে বিভিন্ন অপরাধের সঙ্গে। হারাধনের চৌধুরী হারু নামে মামলা রয়েছে বোয়ালখালী থানায়। পরে এক মুসলিম মেয়েকে বিয়ে করে ধর্মান্তরিত হয়ে আপেল মিন্টু নাম পরিবর্তন করে রাখে শহিদুল ইসলাম শহীদ। তবে ধর্মান্তরিত হওয়ার দালিলিক প্রমাণ দেখাতে পারেনি সে।

আরও পড়ুন: জামিন নিয়ে পালিয়ে গেল আসামি, আদালত দিলেন ৫ বছরের সাজা

তিনি আরও বলেন, বিভিন্ন নামে তার বিরুদ্ধে কয়েকটি থানায় ছিনতাই, ডাকাতি, খুন, মাদক মামলাসহ মোট ৭টি মামলা পাওয়া গেছে। এর মধ্যে বায়েজিদ থানায় খুন ও মাদক মামলা, কুমিল্লা থানায় ১টি, পাঁচলাইশ থানায় ২টি, কোতোয়ালী থানায় ১টি, বোয়ালখালী থানায় ১টি মামলা রয়েছে। তাকে ৫ দিনের রিমান্ড আবেদনসহ আদালতে পাঠানো হয়েছে।

বায়েজিদ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কামরুজ্জামান আলোকিত চট্টগ্রামকে বলেন, আপেল মিন্টুর নামে নগরের বিভিন্ন থানায় ১০টির বেশি মামলা রয়েছে। ২০১৪ সালের আগে সে ছিনতাই, ডাকাতির মতো অপরাধের সঙ্গে জড়িত ছিল। এরপর থেকে সে মাদককারবারি থেকে শুরু করে চাঁদাবাজির মতো অপরাধে জড়িয়ে পড়ে। তার বিরুদ্ধে পুলিশ পরিচয়ে চাঁদাবাজি করার অভিযোগ রয়েছে। ইয়াবাসহ তাকে মহানগর গোয়েন্দা বিভাগ গ্রেপ্তার করেছে। এ ঘটনায় থানায় মাদক আইনে মামলা হয়েছে।

আরএস/আরবি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!