স্ত্রীর সঙ্গে ফোনে কথা বলে রশিতে ঝুলল ওমানে থাকা মাওলানা

ওমানে মাওলানা মো. বেলাল (৫০) নামে এক ফটিকছড়ি প্রবাসী আত্মহত্যা করেছেন।

শুক্রবার (৩ নভেম্বর) দুপুরে ওমানের মুদাবী নামক স্থানে এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে এদিন বিকেলে লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।

মাওলানা বেলাল ফটিকছড়ি উপজেলার নানুপুর ইউপির পূর্ব মাইজভাণ্ডার গ্রামের মৃত খুইল্লে মিয়ার ছেলে।

জানা যায়, ঘটনার দিন তিনি রুমমেটদের সঙ্গে জুমার নামাজ পড়ে দুপুরের খাবার খান। এরপর সবাই ঘুমাতে গেলে বেলাল রান্নাঘরের পাশে গ্যাসের সিলিন্ডারের ওপর দাঁড়িয়ে বিমের সঙ্গে রশিতে ঝুলে আত্মহত্যা করেন।

রুমমেট আইয়ুব বলেন, যেদিন আত্মহত্যা করেছেন সেদিন সকালেও তিনি দীর্ঘক্ষণ কথা বলেছেন স্ত্রী ও সন্তানদের সঙ্গে। আমার ফোনে তার স্ত্রী একটা রেকর্ডিং পাঠিয়েছিলেন। সেখানে শোনা যায়, ‘কিস্তির টাকা দিতে পারেননি।

আরও পড়ুন : চট্টগ্রামে দাদির সঙ্গে অভিমানে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ঝুলল মাদ্রাসাছাত্রী

আরেক রুমমেট মোজাম্মেল বলেন, বেলাল হুজুর মানুষ। শারীরিকভাবেও সক্ষম ছিলেন না। ভারী কোনো কাজ করতে পারতেন না। দেশেও ব্যবসা-বাণিজ্যে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে প্রবাসে এসেছেন। এখানে এসে সুবিধা করতে পারছিলেন না। দেশে ফিরে যাওয়ার জন্য আমাকে বারবার বলতেন। আমি নিজেও আশ্বস্ত করেছিলাম দেশে পাঠানোর জন্য সহযোগিতা করবো। বকেয়া বেতন আদায়ের অপেক্ষায় ছিলেন বেলাল।

তিনি বলেন, শুক্রবার একসঙ্গে জুমার নামাজ পড়ে দুপুরের খাবারও খেয়ে সবাই যখন ঘুমাতে যায় ওই সময় বেলাল আত্মহত্যা করেন। এদিন বিকেল চারটার দিকে আরেক রুমমেট তাকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পায়। খবর পেয়ে রাতে পুলিশ এসে সুরতহাল তৈরি করে লাশ মর্গে নিয়ে যায়।

এদিকে ভাইয়ের মৃত্যুর খবর শুনে ওমানে ছুটে যাওয়া বড় ভাই হাসেম বলেন, আমি আগেও ওমানে ছিলাম। ভাইকে বলেছি বিদেশে কষ্টের কাজ করতে হয়। তুই আলেম মানুষ পারবি না। তারপরও সে আসার জন্য জোর করে। পরে তার জন্য ভিসা সংগ্রহ করি। এভাবে করুণ পরিনতি হবে জানলে কখনো বিদেশে আসতে বলতাম না তাকে।

এসএমএ/আরবি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!