সেই সেলিনা বিপদে আবারও পাশে পেলেন আ জ ম নাছিরকে

চমেকে দেখভালে ছিলেন আইডিএ সভাপতি ডা. আসেফ বিন তাকি

মুজিববর্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহারের ঘর পাওয়া চট্টগ্রামের হাটহাজারীর গুমানমর্দ্দনের সেই সেলিনা বেগমকে এবার চিকিৎসায় সহায়তা করলেন সাবেক মেয়র ও নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দিন।

জানা যায়, সেলিনার চিকিৎসার দায়িত্বে ছিলেন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ইন্টার্ন ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশনের (আইডিএ) সভাপতি ডা. আসেফ বিন তাকি।

হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, বেশকিছু বছরে ধরে স্ত্রীরোগে ভুগছিলেন সেলিনা বেগম। বিষয়টি জানার পর তাঁকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। এ কাজে তাঁকে সহযোগিতা করেন লালখানবাজার ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ নেতা আনিছুর রহমান চৌধুরী।

আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধুকন্যার—সেই সেলিনা, বদলে যাওয়া জীবনের রঙিন গল্পেও আ জ ম নাছির

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ইন্টার্ন ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশনের (আইডিএ) সভাপতি ডা. আসেফ বিন তাকি আলোকিত চট্টগ্রামকে বলেন, সেলিনা বেগমের গাইনোকোলজিক্যাল কিছু সমস্যা ছিল। গত ৯ আগস্ট তাঁর অস্ত্রোপচার হয়েছে। শিগগির তিনি ঘরে ফিরতে পারবেন।

তিনি আরও বলেন, এ ধরনের চিকিৎসা নিতে সেলিনা বেগমকে প্রচুর অর্থ ব্যয় করতে হতো। আ জ ম নাছির ভাইয়ের নির্দেশে তাঁকে চিকিৎসার মাধ্যমে সুস্থ করে তোলার চেষ্টা করেছি। এছাড়া একজন ছাত্রলীগ নেতা হিসেবে আমি মানবিক কাজ করতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি।

এর আগে ২০২২ সালের ১০ এপ্রিল গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি গৃহ হস্তান্তর কার্যক্রম উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এদিন চট্টগ্রামের ১৬ থানায় ১৬ জনকে জায়গাসহ ঘর করে দেয় পুলিশ। চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ লাইনে ওই ১৬ পরিবারের কাছে চাবি হস্তান্তর করা হয়। সেদিন চট্টগ্রামের হাটহাজারী থেকে জায়গার মালিকানাসহ ঘরের চাবি পান সেলিনা বেগম।

অনুষ্ঠানে অতিথি ছিলেন সাবেক মেয়র ও নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দিন।

অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে সেলিনা বেগম বলেন, আমি ভূমিহীন ও গৃহহীন হতদরিদ্র চার মেয়ের জননী। ১২ বছর আগে স্বামী মুজিবুর রহমান মারা যান। এরপর থেকে গার্মেন্টসে চাকরি করে অভাবে দিনাতিপাত করছি। মুজিববর্ষের ঘর উপহার পেয়ে কোনোরকম চললেও চার মেয়ের পড়ালেখা বন্ধের পথে।

আরও পড়ুন : ‘একজন সেলিনার গল্প’—প্রধানমন্ত্রীর দেখানো পথেই হাঁটলেন আ জ ম নাছির

সেলিনার দারিদ্র্যতার কথা শুনে তাঁর পাশে দাঁড়ান আ জ ম নাছির উদ্দীন। পরে নিজ বাসভবনে তাঁকে ডেকে নিয়ে নগদ ৫০ হাজার টাকাসহ চার মেয়ের উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত করার আশ্বাসে শিক্ষাসামগ্রী তুলে দেন। এছাড়াও ভবিষ্যতেও যেকোনো সাহায্য-সহযোগিতার আশ্বাস দেন তিনি।

এদিকে বছর পার হলেও প্রতিশ্রুতি ভুলেননি আ জ ম নাছির উদ্দীন। চলতি বছরের ৩ জুন হাটহাজারী উপজেলার গুমানমর্দন ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমানের মাধ্যমে সেই সেলিনার চার মেয়ের জন্য আগামী এক বছরের টিউশন ফি বাবদ ৫৮ হাজার টাকা ও ২৫ হাজার টাকার শিক্ষাসামগ্রী পৌঁছে দেন।

আরবি/আলোকিত চট্টগ্রাম

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!