সবুজের মাঝে সোনার বাংলা

গাছে গাছে ভরপুর নগরের সিআরবির শিরীষতলা। সেই সবুজের মাঝেই হয়েছে ব্যতিক্রমী এক আয়োজন। যে আয়োজনে দেশকে সবুজে ভরিয়ে তুলতে স্কুলশিক্ষার্থীদের দেওয়া হয় গাছের চারা। পাশাপাশি প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের হাতে তুলে দেওয়া হয় পুরস্কার। আবার এ আয়োজনেই সমাজে বিশেষ অবদানের জন্য তিন নারীকে দেওয়া হয় সম্মাননা।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৩তম জন্মদিন ও বিশ্ব শিশু দিবসে এমন আয়োজন করা হয়। শুক্রবার (১৭ মার্চ) তিলোত্তমা চট্টগ্রামের এ আয়োজনে সহায়তা করে লায়ন্স ক্লাব অফ চিটাগং।

বৃক্ষ প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এটিএম পেয়ারুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি ছিলেন প্যানেল মেয়র ও বাগমনিরাম ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. গিয়াস উদ্দিন এবং রেল শ্রমিক লীগের জেনারেল সেক্রেটারি মো. সিরাজুল ইসলাম।

অনুষ্ঠানে নানা জাতের গাছের চারা বিতরণ করা হয়। যার মধ্যে ছিল বেগুন, মরিচ, পেঁপে, ডালিম, লেবু, পেয়ারা, জাম, সুপারি, খেজুর ও আমলকি। সবমিলিয়ে দেড় শতাধিক জনের হাতে তুলে দেওয়া হয় চারা। যার মধ্যে প্রায় অর্ধশত ছিল স্কুলের ছাত্র-ছাত্রী।

এদিকে চারা পেয়ে ভীষণ খুশি শিক্ষার্থীরা। তাদের কয়েকজন বলেন, আমাদের বেঁচে থাকার জন্য গাছ খুবই জরুরি। তাই আমরা বাসার কাছেই এ গাছ লাগাব এবং পরিচর্যা করব।

আরও পড়ুন : চট্টগ্রামে লাল-সবুজের পতাকা হাতে ভোলার টাইগার ভক্ত

অনুষ্ঠানস্থলেই কথা হয় তিলোত্তমা চট্টগ্রামের কর্ণধার সাহেলা আবেদিনের সঙ্গে। তিনি আলোকিত চট্টগ্রামকে বলেন, তিলোত্তমা চট্টগ্রাম সবসময় একটু ব্যতিক্রমী চিন্তা নিয়ে কাজ করে। এ কারণেই কেক না কেটে বৃক্ষ প্রদানের মধ্যদিয়ে জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকী উদযাপন।

তিনি বলেন, আমি গাছ ভালোবাসি। সবাই গাছ ভালোবাসে। সবার উচিত গাছ রোপণ করে পরিচর্যা করা। এটি করা গেলে সবুজে ভরপুর বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ে তোলা যাবে।

এর আগে প্যানেল মেয়র ও কাউন্সিলর গিয়াস উদ্দিন বলেন, বঙ্গবন্ধু একজন বিশ্বনেতা। যার নেতৃত্বে বাঙালি স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ পেয়েছে। আর স্বাধীন বাংলাদেশকে ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত করেছেন বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তিনি তিলোত্তমা চট্টগ্রামের প্রতিষ্ঠাতা সাহেলা আবেদীনকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, বৃক্ষ বিতরণের মধ্যদিয়ে বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকী উদযাপন দারুণ একটি উদ্যোগ। এর মাধ্যমে সবুজ সোনার বাংলা গড়ে তোলা যাবে।

পরে সমাজে বিশেষ অবদানের জন্য তিন নারীকে সম্মাননা স্মারক দেয় তিলোত্তমা চট্টগ্রাম। তাঁরা হলেন— কালার্স একাডেমির পরিচালক উম্মে হাবিবা আঁখি, নারী উদ্যোক্তা ও সংগঠক নুরি জান্নাত জিনিয়া এবং এসকে গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা নারী নেত্রী শেখ শিরিনুর নিশি।

এর আগে নৃত্যের মধ্যদিয়ে বর্ণিল এ আয়োজনের পর্দা উঠে। আর পর্দা নামে বিজয়ী প্রতিযোগীদের মাঝে ক্রেস্ট ও সার্টিফিকেট বিতরণে।

আলোকিত চট্টগ্রাম

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!