জাতীয় সংসদের হুইপ সামশুল হক চৌধুরী বলেন, এক সময় পটিয়ার পশ্চিমাঞ্চলে শিক্ষার্থীদের পড়ালেখা করতে সমস্যা হতো। বিশেষ করে মেয়েদের। নারী শিক্ষা বিস্তারে বেগম রোকেয়া যে আন্দোলন করেছিলেন তার সফল বাস্তবায়ন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সহযোগিতায় কুসুমপুরা স্কুলকে কলেজে রূপান্তর সম্ভব হয়েছে। বর্তমানে এ অঞ্চলের শিক্ষার্থীরা ভোগান্তি ছাড়া এসএসসি ও এইচএসসি শেষ করতে পারছে।
শনিবার (৩১ ডিসেম্বর) সকালে পটিয়া উপজেলা মাঠে আয়োজিত অনুষ্ঠানে উদ্বোধক ও প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
‘এসো মিলি উল্লাসে, শৈশবের ভেলায়’ স্লোগানে কুসুমপুরা স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রাক্তন ছাত্র-ছাত্রী পরিষদ এ আয়োজন করে।
আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধুর আদর্শ লালন করাদেরই ছাত্রলীগের নেতৃত্বে আনতে হবে : হুইপ সামশুল হক
এদিন সকাল ১০টায় আনন্দ র্যালির মধ্যদিয়ে অনুষ্ঠানের সূচনা হয়। এরপর আলোচনা সভা এবং শেষে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়। প্রথমবারের মতো আয়োজিত এই পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি ও উচ্ছ্বাস ছিল বাঁধভাঙা।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের উপসচিব খোরশেদ আলম খান, উপজেলা চেয়ারম্যান মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরী, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আতিকুল মামুন, পটিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি আ ক ম সামশুজ্জমান চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক হারুনুর রশীদ, মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা রমা কান্তি মজুমদার, জিরি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম খান টিপু ও কুসুমপুরা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. জাকারিয়া ডালিম।
অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন টি কে গ্রুপের চেয়ারম্যান আবুল কালাম, বীর মুক্তিযোদ্ধা ইদ্রিস সোলতান, ফিরোজা-রউফ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান জামাল ছাত্তার মিয়া, প্রগতি ইন্স্যুরেন্স লিমিটেডের ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর অ্যান্ড ইনচার্জ মো. নজরুল ইসলাম, কুসুমপুরা ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসার সভাপতি কামাল উদ্দিন, কুসুমপুরা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান রেজাউল করিম নেছার ও মু. ইব্রাহীম বাচ্চু।
অনুষ্ঠানে স্কুল প্রতিষ্ঠায় অবদান রাখা ব্যক্তিদের এবং স্কুলের প্রাক্তন কৃতী শিক্ষার্থীদের হাতে সন্মাননা স্মারক তুলে দেন অতিথিরা।