রাউজানে ধরা খেল ৩ গরু চোর, পালের গোদা উধাও

রাউজানে গরু চোরচক্রের তিন সদস্যকে আটক করা হয়েছে। তবে পালের গোদা এখনও পলাতক।

রোববার (১০ মার্চ) সন্ধ্যায় চোর ইব্রাহীম প্রকাশ মাইজ্জে মিয়াকে ইউনিয়ন পরিষদের উত্তর পাশের বিল থেকে আটক করে গ্রাম পুলিশ। এরপর তার দেওয়া তথ্যে ফারুক (৩০) ও আলী শাহকে (৪২) আটক করা হয়। পরে তাদের পুলিশের কাছে সোর্পদ করেন ইউপি চেয়ারম্যান।

আটক ইব্রাহিম একই ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের মো. শাহাজাহানের ছেলে, ফারুক ৫ নম্বর ওয়ার্ডের মো. সেকান্দরের ছেলে এবং আলী শাহ ৮ নম্বর ওয়ার্ডের আব্দুল মান্নান মতির ছেলে।

এদিকে গরু চুরির পালের গোদা চাঁন মিয়া প্রকাশ চাঁন্দুর ছেলে রুবেল এখনও পলাতক।

আরও পড়ুন : গরু চোরকে দেওয়া হলো ল্যাপটপ চুরির মামলা!

জানা যায়, রাউজানে গত এক মাসে বিভিন্ন কৃষকের বাড়ি থেকে রাতের আঁধারে ২০টি গরু চুরি হয়। তবে বেশি গরু চুরি হয়েছে কদলপুর ইউনিয়নে। গরু চুরি রোধে চেয়ারম্যান নিজাম উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী গ্রাম পুলিশ ও গ্রামবাসীদের সমন্বয়ে পাহারা জোরদার করেন। সেই ধারাবাহিকতায় রোববার সন্ধ্যায় গ্রাম পুলিশের সহায়তায় গরু চোর ইব্রাহীম প্রকাশ মাইজ্যা মিয়াকে ইউনিয়ন পরিষদের উত্তর পাশের বিল থেকে আটক করা হয়। এ সময় তিনি চেয়ারম্যানের কাছে ৫ ও ৬ নম্বর ওয়ার্ডে গরু চুরির সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেন। পরে তার দেওয়া তথ্যে ফারুক ও আলী শাহকে নিজ ঘর থেকে আটক করে ইউনিয়ন পরিষদের নিয়ে আসা হয়।

আটক চোর ইব্রাহীম প্রকাশ মাইজ্জে মিয়া জানান, তারা গোয়ালঘর থেকে গরু চুরি করে গডফাদারের হাতে তুলে দিলে পেতেন পাঁচ হাজার টাকা। আর সেই গডফাদার গরুগুলো রাঙ্গুনিয়া উপজেলার গোডাউন, শিলকসহ নানা স্থানের কসাইয়ের কাছে অর্ধেক মূল্য বিক্রি করতেন।

এদিকে গরু চোর আটকের সংবাদ ছড়িয়ে পড়লে মুহূর্তেই ভুক্তভোগীসহ কয়েক হাজার জনতা ইউনিয়ন পরিষদের ভিড় জমান। এসময় তারা উত্তেজিত হয়ে উঠেন। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে আটক চোরদের রাত সাড়ে ১০টার দিকে থানায় নিয়ে যায়।

এ বিষয়ে রাউজান থানার পুলিশের এসআই সোলায়মান পাটোয়ারী আলোকিত চট্টগ্রামকে বলেন, আটকরা গরু চোর ও গাড়ি চোরচক্রের সদস্য। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এসএ/আরবি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!