মিরসরাই ট্র্যাজেডির জন্য দায়ী গেটকিপার ও মাইক্রো চালক

মিরসরাইয়ের খৈয়াছড়া ঝরনা এলাকায় মহানগর প্রভাতী ও পর্যটকবাহী মাইক্রোবাসের সংঘর্ষের ঘটনায় রেলওয়ের গঠিত তদন্ত কমিটি প্রতিবেদন দিয়েছে।

৩ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার কথা থাকলে ১৯ দিন পর প্রতিবেদন জমা দিয়েছে তদন্ত কমিটি। প্রতিবেদনে দুর্ঘটনার জন্য প্রধান হিসেবে লেভেল ক্রসিংয়ে দায়িত্বরত গেটকিপার সাদ্দাম হোসেনকে দায়ী করা হয়েছে। এছাড়া ঘটনাস্থলেই মারা যাওয়া মাইক্রোবাসের চালক গোলাম মোস্তফা নিরুকেও দুর্ঘটনার জন্য দায়ী করা হয়েছে।

আরও পড়ুন: মিরসরাই ট্র্যাজেডি—আহতদের যন্ত্রণা দূর করতে লড়ছে হাটহাজারীর তরুণরা

মঙ্গলবার (১৬ আগস্ট) রেলওয়ের বিভাগীয় ব্যবস্থাপক আবুল কালামের কাছে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয় পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি।

এ বিষয়ে আবুল কালাম বলেন, মিরসরাইয়ের দুর্ঘটনার জন্য গেটকিপার ও মাইক্রোবাস চালককে দায়ী করে প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়েছে। ঘটনার পর থেকে গেটকিপার সাদ্দাম হোসেনকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করা হয়। যেহেতু প্রতিবেদনে গাফিলতির প্রমাণ মিলেছে, সেজন্য তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেব। দুর্ঘটনায় মাইক্রোচালক মোস্তফা ঘটনাস্থলে মারা যান। লেভেল ক্রসিংয়ের গেটকিপার সাদ্দাম হোসেন বর্তমানে কারাগারে রয়েছেন।

উল্লেখ্য, গত ২৯ জুলাই দুপুর দেড়টার দিকে মিরসরাইয়ের খৈয়াছড়া ঝর্না থেকে বাড়ি ফিরছিলেন মাইক্রোবাসের পর্যটকেরা। পরে খৈয়াছড়া এলাকায় লাইনে উঠে পড়া মাইক্রোবাসটিকে দ্রুতগামী মহানগর প্রভাতী ট্রেন টেনে-হিঁচড়ে প্রায় এক কিলোমিটার দূরে নিয়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলে ১১ জন নিহত হন। পরে মেডিকেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরও দুজন প্রাণ হারান। দুর্ঘটনায় নিহত ১৩ জনের সবাই মাইক্রোবাসের যাত্রী ছিলেন। এদের সবার বাড়ি চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলায়।

আজিজ/এসআর

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!