মিরসরাই ট্র্যাজেডি—আহতদের যন্ত্রণা দূর করতে লড়ছে হাটহাজারীর তরুণরা

মিরসরাইয়ে ট্রেন-মাইক্রোবাসের সংঘর্ষে গুরুতর আহত ৪ জনের ২ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরলেও ২ জন এখনো হাসপাতালের বেডে কাতরাচ্ছেন। এর আগে আহতদের দুজন ‘না ফেরার’ দেশে চলে গেছেন।

এদিকে আহতদের চিকিৎসার জন্য এলাকার লোকজন এগিয়ে এসেছেন আর্থিক সহায়তায়।

গত ২৯ জুলাই মিরসরাইয়ের বড়তাকিয়ায় ট্রেন ও মাইক্রোবাসের সংঘর্ষে ঘটনাস্থলে ১১ জন ও পরবর্তীতে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরো দুজন মারা যান। আহতদের মধ্যে সর্বশেষ তানভীর হাসান হৃদয় ১০ আগস্ট চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরেন। মাইক্রোবাসের হেলপার তৌকির ও মাহিম দুজন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তারমধ্যে ঘাড় ও হাতে আঘাত পাওয়া মাহিমের অবস্থা আশঙ্কাজনক। আহতদের চিকিৎসা ব্যয় চালাতে গিয়ে অনেকটা নিঃস্ব দুজনের পরিবার।

চিকিৎসকদের মতে, আহতদের সুস্থ হয়ে উঠতে দীর্ঘ সময় লাগতে পারে। এছাড়া সুস্থ হলেও একটা ট্রমার ভেতর দিয়ে যেতে হবে অনেকদিন।

এদিকে মিরসরাই ট্রাজেডিতে আহতদের সহযোগিতা ফান্ড গঠনসহ বিভিন্ন ধরনের সহায়তায় পাশে দাঁড়িয়েছে এলাকার তরুণ- যুবক।

আরও পড়ুন: কক্সবাজার যাওয়ার পথে মিরসরাইয়ে হঠাৎ আগুন ১৪ কলেজছাত্রের মাইক্রোবাসে

চিকনদন্ডীসহ হাটহাজারীর অধিকাংশ এলাকায় তোলা হয়েছে অনুদান। ফান্ডের আহ্বায়ক অধ্যক্ষ ইয়াসিন সেলিম ও সদস্য সচিব তোফায়েল আহমেদসহ এলাকার তরুণেরা মিলে আহতদের চিকিৎসার জন্য ১১ লাখ ১০ হাজার টাকা অনুদান সংগ্রহ করেছেন। এসব টাকা তুলে দেওয়া হবে আহতদের স্বজনের হাতে।

অধ্যক্ষ ইয়াসিন সেলিম আলোকিত চট্টগ্রামকে বলেন, আমরা শুরুতেই চিন্তা করি কীভাবে নিহত ও আহতদের পরিবারকে সাহায্য করতে পারি। সে পরিকল্পনা বাস্তবায়নে আমরা এলাকার তরুণদের সাথে নিয়ে দেশ-বিদেশ থেকে ১১ লাখ ১০ হাজার টাকা অনুদান সংগ্রহ করেছি। এসব টাকা ১২ আগস্ট স্বজনদের হাতে তুলে দেওয়া হয়।

তোফায়েল আহমেদ বলেন, আমি জনপ্রতিনিধির বাইরে গিয়ে একজন মানুষ হিসেবে আহতদের চিকিৎসা সহযোগিতায় কাজ করেছি। আমাদের ডাকে সাড়া দিয়ে মানুষ সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন।

এসআর/আলোকিত চট্টগ্রাম

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!