মা চাকরিতে গেলে ২ বছরের শিশুকে আগুনের ছ্যাঁকা দিত বাবা, ধাক্কা মেরে খুন

নগরের ইপিজেড এলাকায় দুবছরের শিশু ওমর ফারুক মৃত্যুর ঘটনায় মো. ইয়ামিনকে (২৪) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

রোববার (১০ ডিসেম্বর) ইপিজেড থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. হোসাইন বিষয়টির নিশ্চিত করেন। শনিবার (৯ ডিসেম্বর) নগরের ইপিজেড থানার আকমল আলী রোড পকেট গেইট এলাকার মোহাম্মদ আলীর বিল্ডিংয়ের দ্বিতীয় তলার ১১ নম্বর রুম থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তার ইয়ামিন গাইবান্ধা জেলার সুন্দরগঞ্জ থানার নলডাঙ্গা মুর্শিদের বাজার তালুক সর্বানন্দ মুন্সিপাড়ার আবছার আলীর ছেলে। বর্তমানে ইপিজেড এলাকায় বসবাস করেন।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, নিহত শিশু ওমর ফারুকের মা রওশন বেগমের (২৭) তৃতীয় স্বামী মো. ইয়ামিন। গত বুধবার (৬ ডিসেম্বর) সকালে ছেলেকে স্বামী ইয়ামিনের কাছে রেখে কর্মস্থলে (গার্মেন্টস) যান মা। এরপর ওমরের শরীরের বিভিন্ন স্থানে সিগারেট দিয়ে আগুনের ছ্যাঁকা দেয় ইয়ামিন।

পরদিন বৃহস্পতিবারও (৭ ডিসেম্বর) ছেলেকে ইয়ামিনের কাছে রেখে মা কর্মস্থলে যান। সেদিন বেলা সাড়ে ১২টার দিকে ওমর ফারুকের মুখের চোয়াল ধরে ধাক্কা দিলে মাথায় আঘাত পেয়ে সে অজ্ঞান হয়ে যায়। এরপর সন্ধ্যায় রওশন কর্মস্থল থেকে বাসায় ফিরে দেখেন ছেলে অজ্ঞান অবস্থায় নিচে পড়ে আছে। পরে তাকে উদ্ধার করে আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতালে নিয়ে যান তিনি।

আরও পড়ুন : চট্টগ্রামে টুকরো করে শিশু আয়াতকে খুন করেছে আবীর, মা-বাবা নির্দোষ

সেখান থেকে তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে নেওয়া হয়। এসময় আইসিইউ বেডের প্রয়োজন হলে চমেক হাসপাতালে সিট খালি না থাকায় নগরের পাঁচলাইশ থানার হলি হেলথ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরদিন শুক্রবার (৮ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ১১টায় ওমর ফারুক চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়।

শনিবার (৯ ডিসেম্বর) সকালে শিশুর মরদেহ বাসায় আনলে আশপাশের লোকজন বিষয়টি থানা পুলিশকে জানায়। পরে পুলিশ এসে ইয়ামিনকে গ্রেপ্তার করে। পুলিশের জিজ্ঞাসাদের একপর্যায়ে ইয়ামিন শিশু ওমরকে নির্যাতনের কথা স্বীকার করেন। এরপর নিহত শিশু ওমর ফারুকের মা রওশন বেগম বাদী হয়ে থানায় মামলা করেন।

জানা যায়, রওশন বেগম গাইবান্ধা জেলার সুন্দরগঞ্জ থানার নলডাঙ্গা মুর্শিদের বাজার তালুক সর্বানন্দ মুন্সিপাড়ার মো. আব্দুর রশিদ মিয়ার মেয়ে। তিনি ইয়ামিনের সঙ্গে নগরের ইপিজেড থানার আকমল আলী রোড পকেট গেইট এলাকার মোহাম্মদ আলীর বিল্ডিংয়ের দ্বিতীয় তলার ১১ নম্বর রুমে বসবাস করতেন ।

আরএস/আরবি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!