বিনাজুরী স্বাস্থ্য কেন্দ্রে আসেন না ডাক্তার, চরে বেড়ায় গরু

রাউজানের বিনাজুরী ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কেন্দ্রের দরজায় ঝুলছে তালা। এখানে নিয়মিত আসেন না চিকিৎসক-কর্মচারী। এ কারণে প্রতিনিয়ত চিকিৎসাসেবা থেকে বঞ্চিত এলাকার দরিদ্র জনগোষ্ঠী। চিকিৎসা না পেয়ে আশপাশের হাতুড়ে চিকিৎসকের কাছে গিয়ে অপচিকিৎসার শিকার হচ্ছেন অনেকেই।

সোমবার (৪ নভেম্বর) সকাল ১১টায় সরেজমিন দেখা যায়, স্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রধান ফটকের গেটে ঝুলছে তালা। দরজার সামনে বাঁধা রয়েছে গরু। দ্বিতীয় তলায় বসবাস করছেন এক মহিলা। স্বাস্থ্য কেন্দ্রের পশ্চিম পাশে গরুর গোয়লঘর নির্মাণ করে লালন-পালন করা হচ্ছে গরু। ফসলি জমিতে ধান তুলে চলছে মাড়াইয়ের কাজ।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বিনাজুরী ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কেন্দ্রের ভবন ব্যবহার করছেন স্বাস্থ্য কেন্দ্রের অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারী। তিনি সেখানে পরিবার-পরিজন নিয়ে বসবাস করছেন বছরের পর বছর। গোয়াল ঘর নির্মাণ, গবাদি পশু পালন এবং জমিতে চাষাবাদ করছেন তিনি।

এলাকাবাসীর অভিযোগ, বিনাজুরী ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কেন্দ্রে একজন চিকিৎসক, একজন সহকারী চিকিৎসক ও একজন কর্মচারী থাকলেও তাদের কেউ নিয়মিত স্বাস্থ্য কেন্দ্রে আসেন না।

আরও পড়ুন : ২০ টাকার চিকিৎসাকেন্দ্র ‘নিখাদ হেলথ কেয়ার’

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসক সংকট থাকায় বিনাজুরী ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কেন্দ্রের চিকিৎসক ও সহকারীকে সেখানে দায়িত্ব পালন করতে হয়। ফলে অনেক সময় বিনাজুরী স্বাস্থ্য কেন্দ্রে যেতে পারেন না।

বিনাজুরী ইউনিয়নের লেলাঙ্গারা এলাকার বাসিন্দা নুরুল ইসলাম বলেন, স্বাস্থ্য কেন্দ্রের দরজায় প্রতিদিন তালা ঝুলে। ফলে এলাকার মানুষ কম টাকার চিকিৎসা নিতে হাতুড়ে চিকিৎসকদের শরণাপন্ন হয়ে অপচিকিৎসার শিকার হচ্ছেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিনাজুরী ইউপি চেয়ারম্যান রবিন্দ্র লাল চৌধুরী আলোকিত চট্টগ্রামকে বলেন, বিনাজুরী ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কেন্দ্রে সাবেক এক কর্মচারী পরিবার-পরিজন নিয়ে বসবাস করেন এবং গবাদি পশু লালন-পালন করছেন। এসব দেখার কেউ নেই।

অভিযোগের বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তথ্য অফিসার ডা. সাইরা আলোকিত চট্টগ্রামকে বলেন, বিনাজুরী ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কেন্দ্রে একজন চিকিৎসক, একজন সহকারী চিকিৎসক ও একজন কর্মচারী আছেন। তারা প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত সেখানে দায়িত্ব পালন করেন। তবে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসক সংকট থাকায় ওই স্বাস্থ্য কেন্দ্রের চিকিৎসক ও সহকারীকে এখানেও দায়িত্ব পালন করতে হয়। ফলে অনেক সময় স্বাস্থ্য কেন্দ্রে তারা যেতে পারেন না।

আরবি/আলোকিত চট্টগ্রাম

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!