প্রতিবেশী তরুণীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলে যুবক। এরপর রেস্টুরেন্টে নিয়ে মোবাইল ফোনে ছবি তোলা। পরে ওই ছবি নিকটাত্মীয়ের কাছে এবং ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে তরুণীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করার অনৈতিক প্রস্তাব দেয় সেই যুবক। ভিকটিমও ভয়ে তার কথায় রাজি হয়ে দেখা করতে আসলে তাকে নিয়ে যাওয়া হয় হোটেলে। সেখানে ধারণ করা হয় আপত্তিকর কিছু ছবি। পরে সেই ছবি দিয়ে ব্ল্যাকমেল করতে চাইলে বাধ্য হয়ে পুলিশের কাছে যায় ওই তরুণী। এরপর অভিযুক্ত যুবক মো. এরশাদ হোসেন সানিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
সোমবার (১৭ জুলাই) নগরের বন্দর থানার মাইজপাড়া এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এসময় তার মোবাইল ফোনটি জব্দ করা হয়।
পুলিশ জানায়, গ্রেপ্তার যুবকের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কের সুবাদে একটি রেস্টুরেন্টে যায় ভুক্তভোগী তরুণী। সেখানে দুটি ছবি তুলে অভিযুক্ত সানি। এসব ছবি আত্মীয়-স্বজনের মোবাইলে পাঠানো এবং ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে ভিকটিমকে শারীরিক সম্পর্কের প্রস্তাব দেয়।
এরপর গত ১৫ জুলাই রাতে ভিকটিমকে ঘুরতে যাওয়ার প্রস্তাব দিলে পরদিন সকালে নগরের ইপিজেড এলাকায় সানির সঙ্গে দেখা করেন ওই তরুণী। এরপর সকাল ৯টার দিকে অভিযুক্ত সানি সেই তরুণীকে বন্দর থানার একটি হোটেলে নিয়ে যায়। সেখানে গিয়ে আপত্তিকর কিছু ছবি ধারণ করে। এরপর থেকে তরুণীকে শারীরিক সম্পর্ক করতে চাপ দেয় প্রেমিক যুবক। একপর্যায়ে মোবাইল ফোনে তোলা নগ্ন ছবি ও ভিডিও দিয়ে ব্ল্যাকমেল করার চেষ্টা করে সানি।
পরে এ ঘটনায় বন্দর থানায় মামলা করেন ভুক্তভোগী তরুণী। এরপর পুলিশ অভিযুক্ত যুবক সানিকে গ্রেপ্তার করে।
এ বিষয়ে বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সঞ্জয় কুমার সিনহা আলোকিত বলেন, সোমবার (১৭ জুলাই) বন্দর থানার মাইজপাড়া এলাকা থেকে অভিযুক্ত মো. এরশাদ হোসেন সানিকে গ্রেপ্তার করা হয়। এসময় তার মোবাইল ফোনটি জব্দ করা হয়। তাকে আজ (বুধবার) আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
এনইউএস/আরবি