বঙ্গোপসাগরে অস্ত্রসহ ধরা পড়ল ৩০ জলদস্যু, ২১ জনই আনোয়ারার

ডাকাতির প্রস্তুতিকালে বিপুল পরিমাণ আগ্নেয়াস্ত্র, গোলাবারুদসহ ৩০ জলদস্যুকে আটক করেছে র‍্যাব । আটকদের মধ্যে ২১ জন আনোয়ারা উপজেলার বাসিন্দা।

১১ ফেব্রুয়ারি ও ১২ ফেব্রুয়ারি টানা দুদিন দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। এসময় তাদের কাছ থেকে ৮টি দেশি আগ্নেয়াস্ত্র, ৫টি কার্তুজসহ ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত বিপুল পরিমাণ সরঞ্জামসহ দুটি ট্রলার জব্দ করা হয়।

আটকরা হলেন— আনোয়ারা উপজেলার বারশত ইউনিয়নের গোবাদিয়া এলাকার নোয়া মিয়ার ছেলে আব্দুর রহিম (২৫), ইয়ার মোহাম্মদের ছেলে মো. মফিজুর রহমান (৩০), বোয়ালিয়া এলাকার মো. আলমগীরের ছেলে মো. ইসমাইল (২৬), নুরুল হকের ছেলে মো. কাছেদ (১৯) ও মো. আকিদ খান (৩৭), বটতলী ইউনিয়নের হাসান শরীফের ছেলে নুর মোহাম্মদ (১৭), বারখাইনের আফজাল আহমদের ছেলে আব্দুর রহিম সিকদার (৩৪), রায়পুর ইউনিয়নের গহিরা এলাকার আব্দুর ছত্তারের ছেলে করিম (৩৩), মেখের আলীর ছেলে মো. জফুর (৩৫), জেবল হোসেনের ছেলে শফি আলম (৪০), চুন্নাপাড়া এলাকার নুর মোহাম্মদের ছেলে মো. শওকত (৩৭), দুভাষী বাজার এলাকার মো. শফির ছেলে ফজল হক (৪০), দক্ষিণ পরুয়াপাড়া এলাকার আব্দুস সবুরের ছেলে মো. হারুন (৪৪), মো. ইয়াছিন(২৯), খোর্দ্দ গহিরা এলাকার আবুল কালমের ছেলে মো. খলিলুর রহমান (২৫), সালেহ আহমদের ছেলে মো. ইকবাল হোসেন (২৪), মো. রফিকের ছেলে মো. শাহেদ (২২), ইয়ার মুহাম্মদের ছেলে মো. হোসেন (২৭), আব্দুস সালামের ছেলে মো. আলী হোসেন (২৪), আব্দুল খালেকের ছেলে আব্দুল মান্নান (৪০) ও মো. সোলায়মান (৩৮), মো. রুবেল (৩৩), শাজাহান বেগম (৩৭), মো. ইউসুফ (২৯), মো. শামীম (২১), মো. দিদারুল ইসলাম (৩৩), মো. গিয়াস উদ্দিন (২৬), দেলোয়ার ইসলাম (৪২), মো. সাহাব উদ্দিন (৩৫) এবং মো. নাইম (১৯)।

র‍্যাব জানায়, প্রায় ৩৫ থেকে ৪০ জনের তিনটি সশস্ত্র ডাকাতদল ভোলা, বরিশাল, কুতুবদিয়া এবং আনোয়ারা এলাকায় একত্রিত হয়ে সাগরে দস্যুতার পরিকল্পনার খবরে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।

এ বিষয়ে র‌্যাব-৭ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) মো. নুরুল আবছার বলেন, ৪৮ ঘণ্টা অভিযান পরিচালনা করে দক্ষিণ বঙ্গোপসাগর থেকে অস্ত্রসহ ৩০ জন জলদস্যু আটক করা হয়। তাদের অনেকের নামে একাধিক ডাকাতি মামলা রয়েছে।

কাঞ্চন/আরবি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!