পানির নিচে চট্টগ্রাম—সমালোচনার ঝড়, কটাক্ষ

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক এখন জলাবদ্ধতাময়। নগরের বিভিন্ন এলাকার পানির ছবি ও ভিডিওতে ভরপুর ফেসবুক। ভাইরাল হয়েছে ইতোমধ্যে বিভিন্ন ছবি ও ভিডিও। তাতে অনেকেই করেছেন তীর্যক মন্তব্য, জানিয়েছেন ক্ষোভও। মেয়রকেও নিয়েছেন একহাত।

পেশাজীবী সংগঠক ও গণমাধ্যমকর্মী রিয়াজ হায়দার চৌধুরী নিজের ফেসবুক পেজে লিখেন, ভাসুরের নাম নেওয়া মন্দ, তাই পানিতে নগর ডুবলেও নেই কারো ব্যর্থতার গন্ধ।

সেই পোস্টের মন্তব্যে মোহাম্মদ আলী টিটু নামের একজন লিখেন, এখানে যারা মেয়র হয়, তারা শুধু নামের শেষে মেয়র লিখার জন্য মেয়র হয়। জনগণের কোনো কাজ করার জন্য না।

আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে রাতভরের বৃষ্টিতে—সকালেও পানিতে ভাসছে নগর, চরম জনদুর্ভোগ

নগরের তিনপুলের মাথা এলাকার একটি ছবি ফেসবুকে আপলোড করে সুমন গোস্বামী নামে একজন লিখেন, অল্প বৃষ্টিতে চট্টগ্রাম এখন সিঙ্গাপুর আর থাইল্যান্ড হয়ে গেছে। নিজেদের সম্পদের পাহাড় করেছে জনগণের কিছু হয়নি।

শুক্রবার (১৭ জুন) রাত থেকে শুরু হয় টানা বর্ষণ। এর আগে বৃহস্পতিবার (১৬ জুন) সকাল থেকে থেমে থেমে চলতে থাকে বর্ষণ। এসময়ও নগরের বিভিন্ন এলাকায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়।

এরপর জলাবদ্ধতা ও দুর্ভোগের বিভিন্ন ছবি এবং ভিডিও ফেসবুকে তুলে ধরেন বিভিন্ন এলাকার ভুক্তভোগীদের অনেকেই। মুহূর্তেই তা ছড়িয়ে পড়ে। শুরু হয় নানা সমালোচনা।

আজ (শনিবার) সকালে সোহেল তাজ নামের একজন ফেসবুক ব্যবহারকারী রিকশায় যাওয়ার সময় ‘কে বি আমান রোড শিরোনামে’ একটি দুর্ভোগের ভিডিও চিত্র তুলে ধরেন।

এদিকে নগরের নিচু এলাকার বাসাবাড়ি, মার্কেট, দোকানপাট সবখানেই ঢুকে পড়েছে পানি। পানিবন্দি হয়ে অলস সময় কাটাচ্ছেন অনেকেই। এমন ছবিও ঘুরছে ফেসবুকে।

এছাড়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পানি ঢুকে পড়ায় শিক্ষার্থীদের দুর্ভোগের চিত্র দেখা গেছে। এমন বেশ কয়েকটি ছবি দিয়ে আকতার হোসাইন নামের একজন লিখেন, কাপাসগোলা সিটি করপোরেশন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের অবর্ণনীয় দুর্ভোগ।

পুলিশ সদস্য শরীফ জামান নামের একজন লিখেন, চান্দগাঁও থানার ভিতরে পানি আর পানি। ফাইল কেবিনেটে মামলা, গুরুত্বপূর্ণ ডকেট থাকায় রাতে থানায় আসা। স্মৃতি হিসাবে দুটি পিক নিলাম।

আরও পড়ুন: একটু বৃষ্টিতেই জলে ভাসে বাকলিয়া, জনদুর্ভোগের সুযোগে ভাড়া হয় দ্বিগুণ

শুক্রবার রাতে গণমাধ্যমকর্মী রাজীব রাহুল নিজের ফেসবুক পেজে লিখেন, এখনও বহু দূর কোমড় সমান পানিতে আটকে আছি মুরাদপুর।

এরপর আরেকটি পোস্টে তিনি লিখেন, আহো বৃষ্টি আহো, আজ আর বাসায় যাবো না। ফ্লাইওভাইরে মাত্র ২-৩ হাজার মানুষের সাথে রাত কাটিয়ে দিব।

প্রসঙ্গত, নগরে জলাবদ্ধতা নিরসনে প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে ৪টি প্রকল্পের কাজ চলমান রয়েছে।

আলোকিত চট্টগ্রাম

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!