পথে পথে ‘নেতার’ চাঁদাবাজি—কমার্স কলেজ ছাত্রলীগ নেতা কারাগারে

পদবির দাপটে ফুটপাতের হকার থেকে করতেন চাঁদাবাজি। চাঁদার টাকা না পেলে চলতো মারধর। আবার অনেক সময় বাসায় বেঁধে নিয়ে করা হতো নির্যাতন। মুক্তিপণ দিলে তবেই ছাড়া পেতো ভুক্তভোগীরা।

কিন্তু শেষ পর্যন্ত পুলিশের হাত থেকে রেহাই পেলেন না তিনি। বুধবার (১৬ জুন) চাঁদাবাজি ও অপহরণের অভিযোগে আবু বক্কর ছিদ্দিক নামে কমার্স কলেজ ছাত্রলীগের এই সহ-সম্পাদককে গ্রেফতার করেছে ডবলমুরিং থানা পুলিশ।

বক্কর মোগলটুলি হাজী ইয়াছিন আলী লেইনের জাকিরুল হকের ছেলে। সে কমার্স কলেজ ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। বিভিন্ন সময় কলেজ ছাত্রলীগের নাম ভাঙিয়ে ও এক মন্ত্রীর ছবিসহ ব্যানার দিয়ে আগ্রাবাদে আধিপত্য বিস্তারের চেষ্টা করতো। সেই সঙ্গে সমানতালে চলতো চাঁদাবাজি।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আবু বক্কর ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছে। তার সঙ্গে চাঁদাবাজিতে শুভ দাশ (২৩), শাহ আমানত শিশির (২৬) ও রহমানসহ (২০) আরো কয়েকজন যুক্ত রয়েছে বলে জানায় সে।

ডবলমুরিং থানার ওসি মোহাম্মদ মহসীন বলেন, ফুটপাতে চাঁদাবাজি চক্রের অন্যতম সদস্য বক্কর। তবে সে মুন্না নামের এক জনের গ্রুপ করে। গ্রুপে তারা ৫ জন। আগ্রাবাদ এলাকায় ফুটপাতে নিয়মিত চাঁদাবাজি করে তারা। কেউ চাঁদা দিতে না চাইলে তাকে তুলে নিয়ে মারধর করা হয়। এরপর পরিবারের কাছ থেকে মুক্তিপণ দাবি করা হয়।

তিনি আরো বলেন, সম্প্রতি আগ্রাবাদ বাদামতলী মোড়ের ফুটপাতের হকার রিফাতের কাছে চাঁদা দাবি করে ‘মুন্না বাহিনী’। দিতে রাজি না হলে রাতে তাকে তুলে নিয়ে যায় তারা। প্রথমে মারধর করে ২০ হাজার টাকা ও মোবাইল সেট ছিনিয়ে নেয়। তারপর পরিবারের কাছে ফোন করে মুক্তিপণের জন্য এক লাখ টাকা দাবি করে। রিফাতের পরিবার ৫ হাজার টাকা দেয় এবং কৌশলে আমাদের ঘটনাটি অবহিত করে। অভিযোগ পাওয়ার পর রাত থেকে অভিযান চালিয়ে সকালে আগ্রাবাদ কমার্স কলেজ রোডের প্রাথমিক শিক্ষা ভবনের নিচ তলা থেকে রিফাতকে উদ্ধার করা হয়। এ সময় আবু বক্করকে গ্রেফতার করা হলেও বাকিরা পালিয়ে যায়।

এ ঘটনায় একটি মামলা দায়ের হয়েছে। পলাতক বাকিদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে বলে জানান ওসি মহসীন।

আদর/ডিসি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!