চট্টগ্রামে জায়গা আত্মসাতের নেপথ্যে ৪ নকলনবিশ

জালিয়াতির মাধ্যমে চাচার জায়গা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে ভাতিজার বিরুদ্ধে। এ কাজে সরাসরি সহায়তা করেন তাঁর আরেক চাচা। জালিয়াতিতে জড়িত চাচা-ভাতিজা দুজনই নকলনবিশ। শুধু তাই নয়, এ জালিয়াতির নেপথ্যে রয়েছেন আরও দুনকলনবিশ।

এ চার নকলনবিশের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দিয়েছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। অভিযোগের পর চারজনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত। চট্টগ্রাম প্রথম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জুয়েল দেবের আদালত বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) এ আদেশ দেন।

চার নকলনবিশ হলেন— নগরের আকবরশাহ থানার উত্তর কাট্টলী চৌধুরীপাড়া পঞ্চায়েত বাড়ির মরহুম আবু তাহেরের ছেলে মো. রাশেদ (৪০) ও তার চাচা মো. ইয়াকুবের ছেলে পাহাড়তলী সাব রেজিস্ট্রার অফিসের নকলনবিশ মো. ইমরান হোসেন (২৭), সীতাকুণ্ড থানার মধ্যম মহাদেবপুর মন্দির সড়ক এলাকার স্বপন কুমার চৌধুরীর ছেলে পাহাড়তলী সাব রেজিস্ট্রার অফিসের নকল নবিশ সুমন চৌধুরী (৩৩) ও পটিয়া উপজেলার সাততেতৈয়া মনসা ৪ নম্বর কোলগাঁও ইউপি ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সামশুল আলমের ছেলে সদর রেকর্ড রুম নকলনবিশ মো. জাহাঙ্গীর আলম (৪০)।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, চাচা লোকমানের সঙ্গে জায়গা সংক্রান্ত বিষয়ে বিভিন্ন সময় ঝগড়া হয় রাশেদের। লোকমানের পারিবারিক সূত্রে পাওয়া ২২ ফুট ৮ ইঞ্চি সম্পত্তির মধ্যে ৮ ইঞ্চি সম্পত্তি রাশেদ আত্মসাতের চেষ্টা করেন। চাচা লোকমান প্রবাসী হওয়ায় চাচী গোলাপ খাতুনের সঙ্গে নানা সময় ঝগড়া হতো রাশেদের। পরে ২০২৩ সালের ১৬ জানুয়ারি একটি জাল দলিল চাচী গোলাপ খাতুনকে দেখিয়ে বলা হয়, এতে আপনাদের ২২ ফুট সম্পত্তি রয়েছে। বাকি ৮ ইঞ্চি সম্পত্তির কাগজপত্র জাল জালিয়াতি করে পরিবর্তন করে ফেলে রাশেদ।

এরপর ২০২৩ সালের ২৯ মে এ বিষয়ে মামলা করেন চাচী গোলাপ খাতুন। মামলাটি আমলে নিয়ে আদালত পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দেন। সেই তদন্ত প্রতিবেদন চলতি বছরের ১৮ জানুয়ারি আদালতে দাখিল করেন পিবিআই উপপরিদর্শক সাগর দে।

পিবিআই প্রতিবেদন সূত্রে জানা গেছে, চাচাতো ভাই ইমরান হোসেন ও তার আরও দুসহকর্মী সুমন চৌধুরী ও জাহাঙ্গীর আলমের সহায়তায় রাশেদ জালিয়াতি করেন। এতে চাচা লোকমানের ২২ ফুট ৮ ইঞ্চি সম্পত্তির মধ্যে লিখিত ৮ ইঞ্চি মুছে তা শূন্য করে দেন।

তদন্ত প্রতিবেদন বিষয়ে শুনানির দিন ধার্য ছিল আজ। শুনানি শেষে আদালত চার নকলনবিশকে গ্রেপ্তারের আদেশ দেন।

আরবি/আলোকিত চট্টগ্রাম

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!