নগদ-বিকাশ এজেন্ট থেকে টাকা হাতিয়ে নিতে ৪৮৩ পুলিশ কর্মকর্তাকে ব্যবহার

শক্তিশালী এক চক্র। তাদের কাজই হলো পুলিশ কর্মকর্তাকে ব্যবহার করে নগদ ও বিকাশ এজেন্টদের টাকা হাতিয়ে নেওয়া। এভাবে এ পর্যন্ত ৪৮৩ জন পুলিশ কর্মকর্তাকে নিজেদের অপকর্মে ব্যবহার করেছে চক্রটি।

এদিকে পুলিশের এসপি পরিচয়ে প্রতারণা করে টাকা হাতিয়ে নেওয়া ওই চক্রের একজন ধরা পড়েছে কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের জালে। শনিবার (২ ডিসেম্বর) চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ লাইনসের পিআর কনফারেন্স রুমে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের উপপুলিশ কমিশনার লিয়াকত আলী খান এ তথ্য জানান।

গ্রেপ্তার চক্রের ওই সদস্যের নাম মো. সাগর প্রকাশ রিমন (২৩)। তিনি নওগাঁ জেলার মান্দা থানার বাংড়া এলাকার মো. হাসানের ছেলে।

উপপুলিশ কমিশনার লিয়াকত আলী খান জানান, নগরের সদরঘাট থানায় এক ভুক্তভোগীর অভিযোগের ভিত্তিতে সাগরকে নওগাঁ জেলার মান্দা থানা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। এর আগে তাকে গ্রেপ্তারে রাজশাহী জেলার মোহনপুর থানা এলাকায়ও অভিযান চালানো হয়।

আরও পড়ুন : এক সপ্তাহের প্রেমে যেভাবে ৬ লাখ টাকা হাতিয়ে নিলেন চেয়ারম্যানের মেয়ে

ভুক্তভোগী মিনহাজ উদ্দিন নগরের কদমতলী এলাকার ব্যবসায়ী। তিনি বলেন, ফোন করে পুলিশের এসপি পরিচয় দিয়ে তিন দফায় আমার কাছ থেকে ৫২ হাজার টাকা প্রতারণা করে আত্মসাৎ করে চক্রটি। এ বিষয়ে গত ২৭ নভেম্বর নগরের সদরঘাট থানায় অভিযোগ করি।

গ্রেপ্তার সাগর প্রকাশ রিমনের বরাতে উপপুলিশ কমিশনার লিয়াকত আলী খান জানান, বিভিন্ন ওয়েবসাইট থেকে ফোন নম্বর নিয়ে পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটের ‘পুলিশ কন্ট্রোল রুমে’ ফোন দিয়ে নিজেকে পুলিশের এসপি বা এডিশনাল এসপি পরিচয় দিয়ে স্থানীয় থানা এলাকায় দায়িত্বরত পুলিশ অফিসারের ফোন নম্বর নেন। এরপর পুলিশের সেই অফিসারকে ফোন দিয়ে এসপি বা এডিশনাল এসপি পরিচয়ে স্থানীয় বিকাশ এজেন্টের সঙ্গে কথা বলে কৌশলে এজেন্টের ব্যক্তিগত মোবাইল নম্বর নিতেন। পরে একই পরিচয়ে বিকাশ বা নগদ এজেন্টের কাছ থেকে প্রতারণা করে বিপুল অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নেন।

জানা যায়, চক্রটি এ পর্যন্ত ৪৮৩ জন পুলিশ কর্মকর্তাকে নিজেদের অপকর্মে ব্যবহার করেছে।

গ্রেপ্তার রিমনের বিরুদ্ধে ডিএমপি, রাজশাহী, পাবনা ও নওগাঁ জেলার বিভিন্ন থানায় মাদক, জালিয়াতি ও প্রতারণার ৫টি মামলা তদন্তাধীন এবং আদালতে বিচারাধীন আছে। মিনহাজ উদ্দিনের করা সদরঘাট থানার মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।

অভিযুক্তের কাছ থেকে অপরাধ কার্যক্রমে ব্যবহৃর করা মোবাইল ফোন ও সিম জব্দ করা হয়েছে। চক্রটির অন্য সদস্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

আরএস/আরবি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!