দুদকের মামলায় জেলা প্রশাসক এলএ শাখার তিন সার্ভেয়ার জেলে

ভূমি অধিগ্রহণে সোয়া এক কোটি টাকা প্রতারণার মাধ্যমে আত্মসাতে করা দুদকের মামলায় চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের এলএ শাখার তিন সার্ভেয়ারকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।

সোমবার (২০ ফেব্রুয়ারি) চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ ড. বেগম জেবুননেছার আদালত শুনানি শেষে এ আদেশ দেন। এর আগে তারা হাইকোর্টের জামিন শেষে আত্মসমর্পন করেন।

তিন সার্ভেয়ার হলেন-কুমিল্লা জেলার চান্দিনা থানার মুরাদনগর এলাকার মৃত হাজী মো. খোরশেদ আলমের ছেলে মো. মজিবর রহমান (৪০), নোয়াখালী জেলার নোয়াখালী সদর থানার সাহতাপুর এলাকার মৃত আবদুল মান্না ভূঁইয়ার মো. আমানাতুল মাওলা (৩৬) ও পটিয়া থানার ধলঘাট এলাকার বাবু বিশ্বেশ্বর চৌধুরীর ছেলে আশীষ চৌধুরী (৫০)। প্রথম দুজন চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের এলএ শাখা এবং অপরজন প্রেষণে রাঙ্গুনিয়া উপজেলা ভূমি অফিসে কর্মরত ছিলেন।

আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে গ্রাহকের টাকা মেরে দুদকের মামলায় ব্যাংক ম্যানেজারের ২৬ বছর কারাদণ্ড

বিষয়টি নিশ্চিত করে দুদক পিপি মাহমুদুল হক মাহমুদ আলোকিত চট্টগ্রামকে বলেন, চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের এলএ শাখায় দুর্নীতির মামলায় তিন সার্ভেয়ার হাইকোর্টে জামিন আবেদন করেন। হাইকোর্ট ৪ সপ্তাহের মধ্যে নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণ করার নির্দেশ দেন। আজ (সোমবার) চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ আদালতে তারা আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন। আদালত শুনানি শেষে জামিন আবেদন না মঞ্জুর করে তাদের কারাগারে পাঠান।

আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০১৪ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর প্রতারণা ও সরকারি ক্ষমতার অপব্যবহার করে চট্টগ্রাম ভূমি অধিগ্রহণ শাখার (এলএ) উত্তর পতেঙ্গা মৌজার ভূমির মালিকানার রেকর্ডপত্র তৈরি করে ক্ষতিপূরণ বাবদ এক কোটি ১৩ লাখ ১৪ হাজার ২৭৩ টাকা মিজানুর রহমান মাসুদ নামে এক ব্যক্তিকে প্রদান করেন। সেই ভুয়া নথি তৈরির ঘটনায় নগরের কোতোয়ালী থানায় মামলা করা হয়। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দুদকের উপপরিচালক মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ ২০২২ সালের ৩১ জুলাই ফাইনাল রিপোর্ট দেন। এসময় আসামিদের অব্যাহতির আবেদনও করা হয়।

আদালত মামলা তদন্তকারী কর্মকর্তার রিপোর্ট প্রত্যাখ্যান করে আসামির বিরুদ্ধে ৪০৯/৪২০/৪৬৭/৪৬৮/৪৭১/১০৯ দণ্ডবিধিসহ ১৯৪৭ সালে দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় অভিযোগ গঠন করেন। ২০২৩ সালের ২৯ জানুয়ারি হাইকোর্টের বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াত বেঞ্চে জামিন আবেদন করলে আসামিদের ৪ সপ্তাহের মধ্যে নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেওয়া হয়।

আরএস/আরবি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!