চট্টগ্রামে গ্রাহকের টাকা মেরে দুদকের মামলায় ব্যাংক ম্যানেজারের ২৬ বছর কারাদণ্ড

ইস্টার্ন ব্যাংকের (ইবিএল) প্রায়োরিটি ম্যানেজার ইফতেখারুল ইসলামসহ এক সহযোগীকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা ও অর্থদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা গ্রাহকের ৫০ লাখ টাকা আত্মসাতের মামলায় সোমবার (৩০ জানুয়ারি) বিভাগীয় বিশেষ জজ মুনসী আব্দুল মজিদের আদালত এ রায় ঘোষণা করেন। ইফতেখারুলের বিরুদ্ধে দুদকের আরও ১০টি মামলা বর্তমানে বিচারাধীন।

দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি মো. ইফতেখারুল কবির পূর্ব মাদারবাড়ি ৭৩ দারোগারহাট রোডের আলমগীর কবিরের ছেলে। তিনি ইস্টার্ন ব্যাংক ওআর নিজাম রোড শাখার প্রায়োরিটি ম্যানেজার ছিলেন। অপর আসামি মাহমুদুল হাসান পাহাড়তলী সাউথ খুলশী আবাসিক এলাকার ৪৯২/৫৬০ ব্লক-বি ১ নম্বর রোডের বি ব্লকের আনোয়ারুল ইসলামের ছেলে। তিনি নিশাত এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী।

আরও পড়ুন: গ্রাহকের কষ্টের ২৯ কোটি টাকা মেরে জিপিওর ৩ কর্মচারী জেলে

এ বিষয়ে দুদক প্রসিকিউটর মাহমুমুদুল হক বলেন, ইফতেখারুলকে ২৬ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড, ১ কোটি ৪ লাখ টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরও ৩ বছর সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। তাকে কমপক্ষে ১৩ বছর জেল খাটতে হবে। অপর আসামি মাহমুদুল হাসানকে ১৩ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড, ৭৬ লাখ ৩০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে ১ বছর ৪ মাস সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। তাকেও ৫ বছর জেল খাটতে হবে।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ইফতেখারুল ২০১৪ সালের নভেম্বর থেকে ২০১৯ সালের ২৪ এপ্রিল পর্যন্ত ক্ষমতা অপব্যবহার ও জালিয়াতি করে নামি- বেনামি বিভিন্ন অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে অর্থ স্থানান্তর করেন। মাহমুদুল হাসান নিশাত এন্টারপ্রাইজের অ্যাকাউন্টে অনন্য বড়ুয়া, রুপন কিশোর বড়ুয়া ও সুপ্রভা বড়ুয়ার যৌথ অ্যাকাউন্টে এফডিআরের ৫০ লাখ টাকা জালিয়াতির মাধ্যমে আত্মসাৎ করেন।

মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০১৯ সালের ১৩ মার্চ চেকের মাধ্যমে নিশাত এন্টারপ্রাইজের অ্যাকাউন্টে ৪৫ লাখ টাকা, একই বছরের ১৯ মার্চ ৪ লাখ ১৪ হাজার টাকা নগদ উত্তোলন করা হয়। এছাড়া নিশাত এন্টারপ্রাইজের কিস্তি পরিশোধে ৮৬ হাজার টাকাও আত্মসাৎ করা হয়।

এ ঘটনায় ২০১৯ সালের ২৭ নভেম্বর দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয়, চট্টগ্রাম-১ এর উপসহকারী পরিচালক (বর্তমানে সহকারী পরিচালক) নুরুল ইসলাম বাদী হয়ে মামলা করেন। তাদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধি ৪২০, ৪০৯, ৪৬৭, ৪৬৮, ৪৭১, ৪৭৭ (ক) ও ১০৯ ধারা তৎসহ ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫ (২) ধারায় অভিযোগ আনা হয়।

এদিকে বিষয়টি নিশ্চিত করে দুর্নীতি দমন কমিশন সমন্বিত জেলা কার্যালয়, চট্টগ্রাম-২ এর সহকারী পরিচালক ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা নুরুল ইসলাম বলেন, ‘ইস্টার্ন ব্যাংকের গ্রাহকের টাকা আত্মসাতের ঘটনায় করা ১১টি সিরিজ মামলার বিচারকাজ চলমান রয়েছে। আজ এটি প্রথম রায়।

আরএস/আরবি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!