দালাল ধরেই—সৌদি আরবে, ৯০ দিন জেল খেটে আবারও আটক

উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে পালিয়ে দালালের মাধ্যমে পাড়ি দিয়েছিলেন মধ্যপ্রাচ্যে। কিন্তু অনুমতি না থাকায় ঠাঁই হয়নি সেখানেও। তিন মাস জেল খাটার পর ওই রোহিঙ্গাকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠায় সৌদি আরব। আর দেশে এসে আবারও নিজ ক্যাম্পে ফিরে আটক হলেন মোহাম্মদ জাহিদ (২৫) নামে ওই রোহিঙ্গা।

একই সময়ে কক্সবাজার চলে যাওয়া মোহাম্মদ ইউনুস (৩০) নামে আরও এক রোহিঙ্গা স্ত্রী ও দুই শিশুসহ ক্যাম্পে ফিরে ধরা পড়েছেন পুলিশের জালে। পুলিশ জানায়, কক্সবাজার ও সৌদি আরব থেকে উখিয়ার কুতুপালং ও মধুরছড়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ফেরত আসা দুই শিশুসহ পাঁচ রোহিঙ্গা নাগরিককে আটক করেছেন তারা। পরে তাঁদের উখিয়ার কুতুপালং ট্রানজিট ক্যাম্পে পাঠানো হয়েছে।

আরও পড়ুন: ‘ছদ্মবেশ’—বাগানের কামলা সেজে ৭৪ রোহিঙ্গা এসেছে বোয়ালখালীতে

বৃহস্পতিবার (২ সেপ্টেম্বর) বেলা আড়াইটার দিকে উখিয়ার কুতুপালং ও মধুরছড়া রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে তাঁদের আটক করা হয়েছে। আটক রোহিঙ্গারা হলেন, মিয়ানমারের আকিয়াব এলাকার মৃত হোসেন আহম্মদের ছেলে মোহাম্মদ ইউনুস (৩০), তাঁর স্ত্রী হুরায়রা বেগম (২১), দুই শিশু (৩ বছর ও ৯ মাস বয়স) এবং মিয়ানমারের পুইমালির বাসিন্দা আজগর আলীর ছেলে মোহাম্মদ জাহিদ (২৫)।

কক্সবাজার ১৪ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) অধিনায়ক নাঈমুল হক বলেন, মোহাম্মদ ইউনুস ২০০১ সালে মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে আসার পথে নাফ নদী পার হওয়ার সময় পরিবারের অন্য সদস্যরা হারিয়ে যান। পরে তিনি কক্সবাজার সদর থানার ইসলামপুরের পাহাড়তলী এলাকার ভাড়া বাসায় থেকে মাছ ধরার বোটে কাজ করে জীবন যাপন করে আসছিলেন। পরে রোহিঙ্গা নারী হুমায়রা বেগমকে বিয়ে করেন তিনি।

কক্সবাজারে অভাব-অনটনের কারণে তাঁর স্ত্রী-সন্তানসহ গত ২২ আগস্ট কুতুপালং-৪ নম্বর ক্যাম্পে শাশুড়ির ঘরে চলে আসেন। সেখান থেকে তাঁদের আটক করা হয়েছে।

আরও পড়ুন: রোহিঙ্গারা ভাসানচর ছাড়ছে দলে দলে, দুই কারণে ‘স্টপেজ’ মিরসরাই

অন্যদিকে মোহাম্মদ জাহিদ ২০১১ সালে মিয়ানমার থেকে পালিয়ে এসে চট্রগ্রামের চকবাজার এলাকায় ১০ দিন বসবাসের পর সৌদি আরবে থাকা তাঁর মামা রফিকের মাধ্যমে ভিসা ও দালালের সহযোগিতায় পাসপোর্ট সংগ্রহ করে সৌদি আরবে চলে যান। তিন মাস পর ইকামা না থাকায় সৌদি আরব পুলিশ তাঁকে আটক করে জেলে পাঠায়। দুই মাস আগে জেল থেকে বের হলে পাসপোর্ট রেখে সৌদি সরকার তাঁকে বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেন।

এরপর জাহিদ মধুরছড়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে তাঁর চাচা আবুল হাশেমের ঘরে আশ্রয় নেন। পরে খবর পেয়ে এপিবিএন পুলিশ সদস্যরা তাঁকে আটক করেন। আটক পাঁচজনকে উখিয়ার কুতুপালং ট্রানজিট ক্যাম্পে পাঠানো হয়েছে বলে জানান তিনি।

এসি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!