চেনা শহরের অচেনা রূপ, সুবিধা পাচ্ছে রুহুল—রাজুরা

ঈদুল ফিতর ও পহেলা বৈশাখ মিলে এবার ৫ দিনের লম্বা ছুটি। ফলে পরিবার ও স্বজনের সঙ্গ পেতে নগর ছেড়েছে অসংখ্য মানুষ।

ইতিমধ্যে ঈদের তিনদিন চললেও এখনও ফাঁকা ব্যস্ত নগর। গ্রাম ছেড়ে নগরে ফিরতে শুরু করেনি নাড়ির টানে বাড়ি যাওয়ারা।

বুধবার (১০ এপ্রিল) সকাল থেকে চট্টগ্রাম রেলস্টেশন ও বাস টার্মিনালগুলোতে ছিল ঘরমুখো মানুষের উপচেপড়া ভিড়। পরিবার-পরিজন নিয়ে সবাই ছুটেছেন গ্রামের বাড়ি। এরপর থেকে নগরের বিভিন্ন এলাকার রাস্তা ও অলিগলি একবারে ফাঁকা। পথচারী, যানবাহন সবকিছুর চলাচল সীমিত।

আরও পড়ুন :চট্টগ্রামে ঘরে—বাইরে ঈদের আনন্দ 

নগরে এখন গণপরিবহন ও প্রাইভেট গাড়ির সংখ্যাও হাতেগোনা। তবে অটোরিকশা ও ব্যাটারি রিকশা দাপিয়ে বেড়াচ্ছে রাস্তা-অলিগলি। পরিবার-পরিজন নিয়ে বাইরে ঘুরতে বের হওয়া লোকজন এসব বাহনকেই বেছে নিচ্ছেন। যানজট না থাকায় দ্রুত পৌঁছে যাচ্ছেন নির্দিষ্ট গন্তব্যে।

এদিকে নগরের গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা ও মোড়গুলোর চিত্রও প্রায় অভিন্ন। ফ্লাইওভারগুলোতে নেই গাড়ির চাপ। ফাঁকা এই নগরে স্বস্তি নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন অনেকে।

অন্যদিকে এখনও বন্ধ অফিস-আদালত। এছাড়া নগরের হোটেল-রেস্তোরাঁ, মার্কেট, শপিংমল ও বিভিন্ন দোকানপাটও খুলেনি।

আজ (১৩ এপ্রিল) সকালে আখতারুজ্জামান ফ্লাইওভারে গাড়ি চলতে দেখা গেছে হাতেগোনা।  এর মধ্যে অটোরিকশার সংখ্যাই ছিল বেশি।

ব্যস্ততম জিইসি, ওয়াসা, লালখানবাজার, টাইগারপাস, দেওয়ানহাট ও আগ্রাবাদের রাস্তায় ছিল না গাড়ির তেমন চাপ। ট্রাফিক সদস্যদের উপস্থিতি ও ব্যস্ততা চোখে পড়েনি।

একইভাবে চকবাজার, আন্দরকিল্লা, বহদ্দারহাট,  মুরাদপুর, দুনম্বর গেট এলাকায়ও দেখা গেছে অভিন্ন চিত্র। তবে বিভিন্ন গণপরিবহনে এখনও ‘ঈদ বকশিশ’-এর নামে বাড়তি ভাড়া আদায় চলছে।

এদিকে টেরিবাজার, জহুর হকার্স মার্কেট ও রেয়াজউদ্দিন বাজার এলাকার সব দোকানপাট বন্ধ দেখা গেছে। সবকিছু মিলিয়ে চেনা শহরের যেন অচেনা রূপ।

আরও পড়ুন : লম্বা ছুটিতে অচেনা নগর

কথা হয় চকবাজার এলাকায় সন্তানদের নিয়ে বাইরে হাঁটতে বের হওয়া ব্যবসায়ী মো. রুহুল আমীনের সঙ্গে। তিনি আলোকিত চট্টগ্রাম বলেন, এবার বাড়ি যাইনি, শহরে পরিবার নিয়ে ঈদ উদযাপন করছি। নগরের রাস্তাঘাট এখন পুরো ফাঁকা। অন্যসময় জনজট ও যানজটের কারণে রাস্তায় হাঁটাচলা যায় না। রাস্তা ফাঁকা থাকার সুযোগে সন্তানদের নিয়ে হাঁটতে বের হলাম। কোলাহলমুক্ত পরিবেশে ভালোই লাগছে।

মো. রুহুল আমীনের সুরে কথা বললেন জিইসি এলাকার বাসিন্দা রেজাউল করিম রাজুও। তিনি বলেন, এমন পরিবেশ নগরে খুব কম দেখা যায়। কোথাও কোনো কোলাহল নেই, নেই গাড়ির যানজট। দ্রুত সময়ে গন্তব্যে যাওয়া যাচ্ছে। বলা যায় একদমই ফাঁকা। এ যেন অচেনা এক নগর।

আলোকিত চট্টগ্রাম

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!