লম্বা ছুটিতে অচেনা নগর

পরিবার ও স্বজনদের সঙ্গে ঈদের ভাগাভাগি করতে নগর ছাড়ছে মানুষ। ঈদুল ফিতর ও পহেলা বৈশাখ মিলে এবার মিলেছে লম্বা ছুটি। তাই ফাঁকা হয়ে যাচ্ছে বন্দরনগরী চট্টগ্রাম। ইতিমধ্যে কমে গেছে মানুষের চিরচেনা কোলাহল ও যানজট। এছাড়া রাস্তায় কমেছে ব্যক্তিগত গাড়ি ও গণপরিবহন।

এদিকে নগরের গুরুত্বপূর্ণ মোড় চকবাজার, আন্দরকিল্লা, বহদ্দারহাট, মুরাদপুর, দুই নম্বর গেট, জিইসি মোড়, ওয়াসা মোড়, লালখানবাজার, টাইগারপাস, দেওয়ানহাট ও আগ্রাবাদে সেই চিরচেনা দৃশ্যও পাল্টে গেছে। এসব এলাকার রাস্তায় নেই সেই গাড়ির চাপ। ট্রাফিক পুলিশরাও অনেকটা স্বস্তিতে। তবে নিয়মিত ভাড়ার চেয়ে ‘ঈদ বকশিশ’ হিসেবে ৫ টাকা করে যাত্রীদের কাছ থেকে বাড়তি নিতে দেখা গেছে গণপরিবহন চালকদের। অনেকে দিলেও কেউ কেউ ভাড়া নিয়ে তর্কে জড়িয়েছেন।

আন্দরকিল্লা মোড়ে দায়িত্ব পালন করা ট্রাফিক দক্ষিণ বিভাগের এএসআই (নিরস্ত্র) তুষার শুভ্র দাশ আলোকিত চট্টগ্রামকে বলেন, রাস্তায় গাড়ির চাপ আগের চেয়ে কিছুটা কমেছে। যানজটও তেমন একটা নেই। তবে মার্কেটকেন্দ্রিক চাপ এখনও আছে। কারণ মানুষ এখন শেষ মুহূর্তের কেনাকাটায় ব্যস্ত। তবুও আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি রাস্তা যানজটমুক্ত রাখতে এবং মানুষকে যাত্রাপথে স্বস্তি দিতে।

ভাড়ার অভিযোগ বিষয়ে তিনি বলেন, বাড়তি ভাড়ার অভিযোগ পাচ্ছি। বাড়তি ভাড়া নিয়ে যাত্রীরা অভিযোগ করলেই আইনানুগ ব্যবস্থা নিচ্ছি।

আরও পড়ুন : চট্টগ্রামে ঈদের হাওয়া লাগতেই বেড়ে গেল গণপরিবহনের ভাড়া

এদিকে আজ সকাল থেকে চট্টগ্রাম রেলস্টেশন ও বাস টার্মিনালগুলোতে ছিল ঘরমুখো মানুষের ভিড়। পরিবার-পরিজন নিয়ে সবাই ছুটছেন গ্রামের বাড়ি।

চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশনের মাস্টার শফিকুল ইসলাম আলোকিত চট্টগ্রামকে বলেন, সব ট্রেন যাত্রীতে পরিপূর্ণ। তবে ছাদে যাত্রীদের উঠতে দেওয়া হচ্ছে না। এ বিষয়ে দায়িত্ব পালনকারীদের সতর্ক করা হয়েছে।

কদমতলী আন্তঃজেলা বাস টার্মিনাল, কদমতলী বাস টার্মিনাল, স্টেশন রোড, বিআরটিসি বাসস্টেশন, গরিবুল্লাহ শাহ মাজার গেট, অলংকার মোড়, একে খান ও সিটি গেট এলাকার বাস কাউন্টারে মানুষের ভিড় দেখা গেছে।

এদিকে ফাঁকা নগরে নগরের নিরাপত্তায় বেশকিছু নির্দেশনা দিয়েছে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি)।

নির্দেশনায় বাসা-বাড়ির দরজায় অধিক নিরাপত্তা সম্পন্ন অতিরিক্ত লক বা তালা ব্যবহার এবং নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার ফাঁকা বাসায় রেখে না যাওয়ার অনুরোধ করার পাশাপাশি সিসিটিভি ক্যামেরা এবং এলার্ম সিস্টেম ব্যবস্থা রাখতে বলা হয়েছে। আবাসিক এলাকায় রাতে অতিরিক্ত নিরাপত্তাকর্মী নিয়োগ ও নতুন নিয়োগ করা নিরাপত্তাকর্মীর এনআইডি কার্ড ও ছবি সংরক্ষণ করতে বলা হয়েছে। এছাড়া সন্দেহজনক কোনো ব্যক্তি ঘোরাফেরা করতে দেখলে কিংবা আইনশৃঙ্খলা অবনতি সংক্রান্ত কোনো ঘটনা ঘটলে দ্রুত ৯৯৯-এ জানাতে বলা হয়েছে।

আরবি/আলোকিত চট্টগ্রাম

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!