চকরিয়ার ২ ইউনিয়নে রোহিঙ্গা ভোটার কত জন—জানতে চাইলেন হাইকোর্ট

চকরিয়া উপজেলার দুইউনিয়ন কৈয়ারবিল ও খুটাখালীতে কত জন রোহিঙ্গাকে ভোটার করা হয়েছে সেটির তালিকা চেয়েছেন হাইকোর্ট।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) এক রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

স্থানীয় আব্দুল ওয়াহেদের পক্ষে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. মোজাহিদুল আওয়াল নুরী (রাজীব) এ রিট আবেদন করেন। তিনিই আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন।

এ বিষয়ে অ্যাড. মোজাহিদুল আওয়াল নুরী বলেন, কৈয়ারখালি ও খুটাখালী ইউনিয়নে কতজন রোহিঙ্গার নাম ভোটার তালিকায় উঠেছে তা জানতে চেয়ে তালিকা দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। ভোটার তালিকা থেকে রোহিঙ্গাদের বাদ দেওয়ারও আদেশ দেওয়া হয়েছে। আগামী ৬ মে’র মধ্যে এ তালিকা আদালতে জমা দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া ভোটার তালিকায় রোহিঙ্গাদের নাম তোলা কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করা হয়েছে।

রিট আবেদনে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়, নির্বাচন কমিশন, নির্বাচন কমিশন সচিব, কক্সবাজার জেলা প্রশাসক, জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) ও চকরিয়া উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাকে বিবাদী করা হয়েছে।

আরও পড়ুন : চকরিয়া সমাজসেবা কার্যালয়ে ‘ঘুষ’—ভাইরাল ভিডিওতে তোলপাড়

যোগাযোগ করা হলে চকরিয়া উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. ইরফান উদ্দিন বলেন, এরকম কোনো তথ্য পাইনি। আদালতের আদেশ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

জানা গেছে, চকরিয়া উপজেলার ১৮টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভার মধ্যে ঢেমুশিয়া ছাড়া আর সব ইউনিয়নে কমবেশি নতুন-পুরাতন রোহিঙ্গা রয়েছে। জনপ্রতিনিধিদের মতে, পাহাড়ঘেঁষা ইউনিয়নগুলোতেই বেশি রোহিঙ্গার বসবাস। অনেক রোহিঙ্গা আশ্রয়স্থল বা অন্য কোনো এলাকায় ভোটারও হয়েছে। পুরাতন রোহিঙ্গাদের বেশিরভাগই ভোটার হওয়া ছাড়াও জমিজমা ক্রয় ও স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে আত্মীয়তাও করেছে।

তথ্যমতে, ইতিপূর্বে প্রশাসনিক একটি জরিপে ৭ হাজার রোহিঙ্গা শনাক্ত হয়েছিল। ওই জরিপের পর আরও কয়েক হাজার রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ করে পাহাড়ি গ্রামে বসতঘর তৈরি করে বসবাস করছে।

এমকেডি/আরবি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!