চট্টগ্রাম ক্যান্সার ইনস্টিটিউট যাত্রা শুরু করবে ২০২৩ সালে, ব্যয় ১২০ কোটি

আগামী ৭ জুলাই (বৃহস্পতিবার) চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালে (সিএমওএসএইচ) অনকোলজি ও হেমাটোলজি ডিপার্টমেন্টের তত্ত্বাবধানে আন্তর্জাতিক বৈজ্ঞানিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়া আগামী বছর পহেলা জুলাই থেকে পূর্ণাঙ্গভাবে ক্যান্সার ইনস্টিটিউটের কার্যক্রম শুরু হবে। তাই পুরো ইনস্টিটিউট চালানো এবং তত্ত্বাবধানের জন্য এই বৈজ্ঞানিক সম্মেলন আয়োজন করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (৫ জুলাই) বেলা ১২টায় চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের ইঞ্জিনিয়ার আবদুল খালেক মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য তুলে ধরেন চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতাল কার্যনির্বাহী কমিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট এসএম মোরশেদ হোসেন।

আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে মৃত্যু নেই, করোনাও কমেছে

লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, আমাদের ক্যান্সার ইনস্টিটিউট ১০০ শয্যার এবং প্রায় ৫ হাজার ৫০০ বর্গফুট আয়তনের। ২০১৫ সাল থেকে এখন পর্যন্ত ৬ হাজারের বেশি ক্যান্সার রোগীর চিকিৎসাসেবা দিয়ে এসেছি। শুধুমাত্র ক্যানসারের চিকিৎসায় নয়, ক্যান্সার রিসার্চ নিয়ে আমরা কাজ করছি।

এসএম মোরশেদ হোসেন বলেন, ২০২১ সালে আমাদের চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালের অনকোলজি ও রেডিওথেরাপি বিভাগে রমেট আউটডোর রোগীর সংখ্যা ছিল ১ হাজার ৫৩৬ জন। ভর্তি রোগী ৫৪৬ জন এবং কোমোথেরাপি পেয়েছে ১ হাজার ৪৮৬ জন। হেমোটোলজি বিভাগের মোট আউটডোর রোগী ছিল ২ হাজার ৯৮ জন, ভর্তি রোগী ছিল ২৫০ জন এবং ডে কেয়ার সার্ভিস পেয়েছে ১ হাজার ৩৪৫ জন।

তিনি বলেন, আমাদের ক্যান্সার ইন্সটিটিউটে রেডিওথেরাপি, কেমোথেরাপি, প্যালিয়েটিভ কেয়ার, পেডিয়াট্রিক অনকোলজি, হেমাটোলজি, অ্যাডাল্ট অনকোলজিসহ সকল বিভাগ বর্তমান থাকবে এবং তার সঙ্গে নিউক্লিয়ার মেডিসিনের সবকিছু থাকবে এবং সেই সঙ্গে নিউক্লিয়ার মেডিসিন ইনভেস্টিগেশনের সবকিছু থাকবে।

তিনি আরও বলেন, ইতিমধ্যে দুটি রেডিওথরোপি মেশিন বসানোর জন্য দুটি বাংকারের কাজ শেষ পর্যায়ে। এই পুরো প্রজেক্ট করতে আমাদের ১২০ কোটি টাকা খরচ হবে। এই মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নে আমরা চট্টগ্রামবাসীর সহায়তা ও সহযোগিতা কমান করছি। ক্যানসার ইনস্টিটিউট প্রকল্প করার জন্য যে জায়গা প্রয়োজন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তা ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। এছাড়া ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ এই প্রকল্পের জন্য ৫ কোটি টাকা অনুদান দিয়েছেন।

এছাড়া বাস্তবায়ন কমিটির চেয়ারম্যান দৈনিক আজাদীর সম্পাদক এমএ মালেক, সাবেক গভর্নর রূপম কিশোর বড়ুয়া এবং ভিআইপি টাওয়ারের স্বত্বাধিকারী আবুল হোসেন এই প্রকল্পে ১ কোটি টাকা অনুদান দিয়েছেন। এভাবে চট্টগ্রামের আরও অনেক মহৎপ্রাণ ব্যক্তি আমাদের ক্যান্সার ইনস্টিটিউজের জন্য অর্থ সহায়তা দিয়েছেন। তাই এই ক্যান্সার হাসপাতাল পরিপূর্ণভাবে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য সকলের সহযোগিতা কামনা করছি।

আরও পড়ুন: চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে বিল জালিয়াতি—৪ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গেল দুদকে

শেষে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতাল কার্যনির্বাহী কমিটির প্রফেসর এমএ তাহের খান।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন হেমটোলজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. সামিরা তৌফিক রেশমা, অনেকোলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. শেফাতুজ্জাহান ও কার্যনিবাহী কমিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট ইঞ্জিনিয়ার জাবেদ আবছার চৌধুরী।

আরবি/আলোকিত চট্টগ্রাম

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!