পুলিশ ও হকার সংঘর্ষে রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে নগরের নিউমার্কেট এলাকা। এসময় হকার, পুলিশসহ আহত হন অনেকে। এছাড়া চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) বেশ কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুর করা হয়।
সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৪টার দিকে পুনর্বাসনের দাবিতে আন্দোলনরত হকাররা হঠাৎ পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। বিকেল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ চলে। তবে আহতদের পরিচয় পাওয়া যায়নি।
এদিকে এ ঘটনায় সিটি করপোরেশন মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে চলে জানা গেছে। তবে এ ঘটনা পরিকল্পিত বলে দাবি করেছেন হকার নেতারা।
প্রত্যক্ষ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সোমবার দুপুর ২টা থেকে জহুর হকার্স মার্কেট সংলগ্ন মিউনিসিপ্যাল স্কুলের সামনের রাস্তায় বিক্ষোভ—সমাবেশ করছিলেন হকাররা। এসময় দখলমুক্ত ফুটপাত ও সড়কে পরিচ্ছন্নতার কাজ করছিলেন চসিকের কর্মীরা। হঠাৎ হকাররা এসে সিটি করপোরেশনের কাজে বাধা দেন। এসময় উভয়পক্ষের মধ্যে বাকবিতণ্ডা শুরু হয়। একপর্যায়ে উপস্থিত পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে সংঘর্ষ বাধে। এ সমঢ পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল ছুঁড়তে থাকে হকাররা। পুলিশও কাঁদানে গ্যাস ও ফাঁকা গুলি ছুঁড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে। চলে দফায় দফায় ধাওয়া—পাল্টা ধাওয়া।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে চসিক মেয়রের পিএস মু. আবুল হাশেম আলোকিত চট্টগ্রামকে বলেন, আমাদের কাজে হকাররা বাধা দিয়েছে। চসিকের প্রায় পাঁচটি গাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুঁড়েছে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
যোগাযোগ করা হলে সিএমপির এডিশনাল কমিশনার আবদুল মান্নান মিয়া বলেন, পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে। সংঘর্ষে চার পুলিশ আহত হয়েছে। এ ঘটনায় আইনি প্রক্রিয়া চলছে।
এদিকে চট্টগ্রাম ফুটপাত হকার সমিতির সভাপতি নূরুল আলম লেদু আলোকিত চট্টগ্রামকে বলেন, আমরা শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ সমাবেশ করার সময় বহিরাগতরা পুলিশের দিকে ইট-পাটকেল ছুঁড়েছে। এ ঘটনা পরিকল্পিত। বেশ কয়েকজন হকার আহত হয়েছে।
আরবি/আলোকিত চট্টগ্রাম