চট্টগ্রামে কোরবানির পশুর হাট না জমলেও খামারে বেড়েছে বেচাকেনা

আসন্ন ঈদুল আজহাকে কেন্দ্র করে দেশের উত্তরবঙ্গসহ বিভিন্ন জেলা থেকে গরু এনে মজুদ করেছেন চট্টগ্রামের ব্যবসায়ীরা। ব্যস্ত সময় পার করছেন খামারিরাও। হাটে এখনো পশু বেচাকেনা না জমলেও খামারে বেড়েছে ক্রেতার আনাগোনা। অনেক খামারে ইতোমধ্যে পশু বিক্রি জমজমাট।

এদিকে এবারের কোরবানিতে চট্টগ্রামে পশু সংকট হবে না বলে জানিয়েছেন জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা।

কোরবান উপলক্ষে দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে গরু এনে তা প্রস্তুত করে হাটে বিক্রি করেন ব্যবসায়ীরা। দিনাজপুর, রংপুর, ঠাকুরগাঁও, খুলনা, কুষ্টিয়া, রাজশাহী, বগুড়াসহ বিভিন্ন জেলা থেকে গরু কিনে আনা হয়।

জানা যায়, চট্টগ্রাম জেলার সম্ভাব্য কোরবানির পশুর চাহিদা ৮ লাখ ৭৪ হাজার ৭১৩টি। যা গত বছর ছিল ৮ লাখ ১৩ হাজার ৫০। এ বছর স্থানীয় পশু উৎপাদন ৮ লাখ ৪২ হাজার ১৬৫। স্থানীয় উৎপাদন ও দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে পশু আসার কারণে এবার চট্টগ্রামে সংকট হবে না বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

যোগাযোগ করা হলে বায়েজিদ বোস্তামী থানার আমিন জুট মিল এলাকার এশিয়ান এগ্রোর ম্যানেজার মো. রায়হান বলেন, এবারের কোরবানির জন্য আামাদের খামারে ১৭৫টি গরু প্রস্তুত করা হয়েছিল। আমাদের সর্বোচ্চ দামের গরু ৯ লাখ টাকা। বর্তমানে ৩০টির মতো গরু রয়েছে। বাকি সব বিক্রি হয়ে গেছে।

মুরাদপুর এলাকার ব্যবসায়ী আবদুর রহমান বলেন, গরু হাটের ঝক্কি-ঝামেলা এড়াতে পরিচিত খামার থেকে গরু কিনে সেখানে রেখে দিয়েছি। কোরবানির দুদিন আগে আনব।

এ ব্যাপারে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. আলমগীর আলোকিত চট্টগ্রামকে বলেন, এবার কোরবানির পশুর চাহিদা ৮ লাখ ৭৪ হাজার ৭১৩টি। যা গত বছর ছিল ৮ লাখ ১৩ হাজার ৫০টি। এ বছর স্থানীয় পশু উৎপাদন ৮ লাখ ৪২ হাজার ১৬৫টি।

এসআই/আলোকিত চট্টগ্রাম

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!