গণটিকার দ্বিতীয় দিনেও জনস্রোত, সামাজিক দূরত্ব নেই—মাস্কও

চট্টগ্রামসহ সারাদেশে গণটিকা কার্যক্রম আরও দুদিন বাড়িয়ে আজও চলছে টিকাদান। চলবে আগামীকাল সোমবার পর্যন্ত। প্রথমদিনের মতো আজ দ্বিতীয় দিন বেশিরভাগ গণটিকা কেন্দ্রেই ছিল জনস্রোত।

এর আগে গত শনিবার এক কোটি ডোজ টিকা দেওয়ার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছিল। লক্ষ্য পূরণে বিভিন্ন হাসপাতালের বাইরেও স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র, কমিউনিটি সেন্টার, প্রাথমিক বিদ্যালয়, কাউন্সিলর কার্যালয়, ইউনিয়ন পরিষদ এবং খোলা মাঠে টিকা দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়। প্রথম দিন যারা টিকা নিয়েছে তাদেরও দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হয়েছিল।

রোববার (২৭ ফেব্রুয়ারি) প্রথমদিনের মতো প্রায় একই চিত্র নগরের বিভিন্ন টিকাদান কেন্দ্রগুলোতে। টিকা শুরুর আগে থেকেই কেন্দ্রে টিকা প্রত্যাশীরা ভিড় করেন। টিকাকেন্দ্রের সামনে কড়া রোদ উপেক্ষা করা অসংখ্য মানুষ লম্বা লাইনে দাঁড়ান।

আরও পড়ুন: গণটিকায় উপচেপড়া ভিড়, যতক্ষণ মানুষ থাকবে ততক্ষণ দেওয়া হবে

এছাড়া যারা গতকাল শনিবার টিকা নিতে পারেরনি তাদের অনেকেই আজ ভিড় জমার টিকাকেন্দ্রের সামনে। টিকা পেতে কোনো ধরনের নিবন্ধন কিংবা কাগজপত্রের প্রয়োজন হচ্ছে না।

এদিকে জনস্রোত সামলাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে টিকাদানকেন্দ্রের স্বেচ্ছাসেবকদের। কেন্দ্রের ভেতরে-বাইরে কোথাও নেই সামাজিক দূরত্ব। টিকা নিতে আসাদের অনেকের মুখে ছিল না মাস্ক।

সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, আজ রোববার ও আগামীকাল সোমবারও একইভাবে করোনার টিকা দেওয়া হবে। এছাড়া টিকা দেওয়ার নিয়মিত স্বাভাবিক কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। গণটিকার প্রথম দিন চট্টগ্রামের ১৪ উপজেলায় ৪ লাখ ২৯ হাজার ২৯৪ জনকে করোনার টিকা আওতায় আনা হয়েছে।

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের স্বাস্থ্য বিভাগ জানিয়েছে, গণটিকার প্রথম দিন নগরের ৪১ ওয়ার্ডের ১৫২টি কেন্দ্রে প্রায় ৩ লাখ টিকা দেওয়া হয়েছে। সকাল ৯টা থেকে শুরু করে বিকেল ৫টা পর্যন্ত একটানা এই কার্যক্রম চলে। গণটিকার আওতায় নিবন্ধিত ও অনিবন্ধিত ১২ বছর এবং তদুর্ধ্ব জনসাধারণকে কোভিড-১৯ টিকা দেওয়া হয়। যার মধ্যে ১২ থেকে ১ ৭বছর বয়সী শিশুদের ফাইজার টিকা দেওয়া হয়েছে।

আরও পড়ুন: ‘চট্টগ্রামে গণটিকা’ কেন্দ্রের সামনে টিকার জন্য লম্বা লাইন

সিভিল সার্জন ডা. মো. ইলিয়াছ চৌধুরী জানান, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনা অনুযায়ী চট্টগ্রামসহ সারাদেশে গণটিকা কার্যক্রম আরও দুদিন বাড়ানো হয়েছে। সে অনুযায়ী আজ চট্টগ্রাম মহানগরসহ ১৪ উপজেলায় দ্বিতীয় দিনের মতো টিকাদান কর্মসূচি চলছে। আগামীকালও এই কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।

তিনি আরও বলেন, গণটিকার প্রথম দিন আমাদের যে লক্ষ্যমাত্রা ছিল তা আমরা পূরণ করতে সক্ষম হয়েছি। শনিবার ১৪ উপজেলার ৪ লাখ ২৯ হাজার মানুষকে টিকার আওতায় আনা হয়েছে।

আরবি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!