গণটিকায় উপচেপড়া ভিড়, যতক্ষণ মানুষ থাকবে ততক্ষণ দেওয়া হবে

গণটিকার শুরু থেকেই নগরের বিভিন্ন টিকাকেন্দ্রে টিকা প্রত্যাশীদের ভিড় ছিল উপচেপড়া। টিকা দেওয়া শুরুর আগে থেকেই অসংখ্য মানুষ লাইনে দাঁড়িয়ে পড়েন।

শনিবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) সকাল থেকে নগরের ৪১টি ওয়ার্ডসহ ১৪ উপজেলায় গণটিকা কার্যক্রম শুরু হয়।

স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানা যায়, এ কার্যক্রমের আওতায় চট্টগ্রামের ৪ লাখ মানুষকে টিকা দেওয়া হবে।

আরও পড়ুন: ‘চট্টগ্রামে গণটিকা’ কেন্দ্রের সামনে টিকার জন্য লম্বা লাইন

করোনা মহামারি প্রতিরোধে মোট জনসংখ্যার ৭০ শতাংশ মানুষকে প্রথম ডোজের আওতায় আনতে শুরু হয়েছে একদিনে এক কোটি কোভিড-১৯ টিকাদান কার্যক্রম। এ কার্যক্রমের আওতায় টিকাদান কেন্দ্রগুলোতে ভিড় জমিয়েছেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ।

শনিবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টার দিকে নগরের লালদীঘি পার্কের অস্থায়ী টিকাদান কেন্দ্রে দেথা যায় সহস্র মানুষের জটলা।

সরেজমিনে দেখা যায়, টিকা দেওয়া শুরুর অনেক আগে থেকেই বিভিন্ন বয়সের নারী-পুরুষ লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে আছেন।

টিকা নিতে আসা লোকজন জানান, টিকাকেন্দ্রের বুথ আরও বাড়ানো দরকার।

এদিকে টিকাদান কেন্দ্রের স্বেচ্ছাসেবকদের ভিড় সামলাতে হিমশিম খেতে দেখা গেছে। সেখানে সামাজিক দূরত্ব ছিল উপেক্ষিত। টিকা নিতে আসাদের অনেকের মুখে ছিল না মাস্ক। আবার অনেকেই সঠিকভাবে মাস্কের ব্যবহার করেননি।

তবে যারা জন্ম নিবন্ধন কার্ড বা এনআইডি কার্ড ছাড়াই এসেছেন তাদেরও টিকা দেওয়া হচ্ছে।

আরও পড়ুন: সীতাকুণ্ডে গণটিকা পেল ৮৩৫ জন

এদিকে সকালে নগরের লালদীঘির পার্ক টিকাকেন্দ্র পরিদর্শন করেন স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন অনুবিভাগ) সাবিনা ইয়াসমিন, অতিরিক্ত সচিব (বাজেট অনুবিভাগ) রাশেদা আক্তার, চট্টগ্রাম বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ্য) ডা. হাসান শাহরিয়ার কবীর ও সিভিল সার্জন ডা. মো. ইলিয়াছ চৌধুরী।

এছাড়া সকাল ১১টায় নগরের কাজির দেউড়ি এলাকার অফিসার্স ক্লাব ও এমএ আজিজ স্টেডিয়াম এলাকায় গণটিকাদান কার্যক্রম পরিদর্শন করেন জেলা প্রশাসক মো. মমিনুর রহমান চৌধুরী।

চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. মো. ইলিয়াছ চৌধুরী জানান, টিকা না নিয়ে কাউকে বাড়ি ফিরতে হবে না। টিকাকেন্দ্রে টিকা গ্রহীতারা যতক্ষণ থাকবে ততক্ষণ টিকা দেওয়া হবে।

আরবি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!