ওয়ারেন্ট লুকিয়ে রাখা সেই বেঞ্চ সহকারীকে ফের বদলি

আদালতের সেই বেঞ্চ সহকারী মো. হারুন উর রশিদকে ফের বদলি করা হয়েছে। চতুর্থ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বেঞ্চ সহকারী থেকে নেজারত শাখার ক্যাশিয়ার পদে তাঁকে বদলি করা হয়েছে।

সোমবার (৯ অক্টোবর) চট্টগ্রাম চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জুয়েল দেব সাক্ষরিত এক অফিস আদেশে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।

অফিস আদেশে বলা হয়, বিচারিক ও প্রশাসনিক কাজের সুবিধার্থে পুনরাদেশ না দেওয়া পর্যন্ত চতুর্থ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বেঞ্চ সহকারী হারুন উর রশিদকে নেজারত শাখার ক্যাশিয়ার পদে বদলি করা হল। এ আদেশ মঙ্গলবার (আজ) থেকে কার্যকর হবে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে চট্টগ্রাম চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের নাজির আবুল কালাম আজাদ আলোকিত চট্টগ্রাম বলেন, পুলিশ হেফাজতে মারা যাওয়া সাবেক দুদক উপপরিচালক সৈয়দ মো. শহিদুল্লাকে সমন না পাঠিয়ে আটকিয়ে রাখাসহ দায়ীদের শনাক্ত করতে এক সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত কমিটির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. অলি উল্লাহকে।

আরও পড়ুন : চট্টগ্রামে থানা হেফাজতে দুদক কর্তার মৃত্যু, অনুসন্ধান চায় দুদক সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন

এর আগে গত রোববার পুলিশ হেফাজতে মারা যাওয়া সাবেক দুদক উপপরিচালক সৈয়দ মো. শহিদুল্লাকে ফাঁসানো মিথ্যা মামলার সমন লুকিয়ে রাখার ঘটনায় ষষ্ঠ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আাদালতের বেঞ্চ সহকারী মো. হারুন উর রশীদকে সিএমএম-৪ এ বদলি করা হয়েছিল।

তারও আগে সিএমপির চান্দঁগাও থানা হেফাজতে দুদকের উপপরিচালক সৈয়দ মো. শহীদুল্লাহর মৃত্যুর পর সমন ইস্যুর বিষয়ে নেজারত শাখা থেকে প্রতিবেদন চাওয়া হয়। নেজারত শাখা ওই মামলার সমনটি চট্টগ্রাম ষষ্ঠ মেট্টোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত থেকে নেজারত শাখায় পাঠায়নি বলে প্রতিবেদন দেয়।

ওই আদালতে গত ৩০ আগস্ট স্মারক নং-৪৮৭৬ মূলে সমন লিখা হলেও নেজারত শাখায় ওই সমন আর যায়নি। ওটা বেঞ্চ সহকারী নিজেই আটকে রাখেন এবং গোপন করে ওয়ারেন্ট করান। আর ওই ওয়ারেন্ট একইদিন পাঠিয়ে দেওয়া হয় থানায়।

জানা যায়, সমনটি লেখা হলেও তা গোপনে রেখে দেন ওই আদালতের বেঞ্চ সহকারী হারুন অর রশীদ। এটি মামলার আসামিদের হাতে যাতে না পৌঁছায় সেজন্য কৌশলে নিজের ড্রয়ারে রেখে দিয়ে নেজারত শাখায় আর পাঠাননি।

পরে জামিনযোগ্য ৩২৩ ও ৫০৬ ধারার সমনকে কৌশলে গোপন করে মামলার ধার্য তারিখে ওয়ারেন্ট ইস্যু করা হয়। আদালতের বেঞ্চ সহকারীদের সঙ্গে এই ওয়ারেন্ট বাণিজ্যে কারা জড়িত রয়েছে তা খতিয়ে দেখতে মাঠে নেমেছে পুলিশের একটি সংস্থাও।

আরএস/আরবি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!