চট্টগ্রামে থানা হেফাজতে দুদক কর্তার মৃত্যু, অনুসন্ধান চায় দুদক সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন

থানা হেফাজতে সাবেক দুদক কর্মকর্তা সৈয়দ মো. শহীদুল্লার মৃত্যুর ঘটনা অনুসন্ধানের আবেদন জানিয়েছেন দুদক সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন।

রোববার (৮ অক্টোবর) অ্যাসোসিয়েশেন সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে দুদক চেয়ারম্যান বরাবরে এ আবেদন করা হয়।

চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, গত ৩ অক্টোবর রাতে দুর্নীতি দমন কমিশনের সাবেক উপপরিচালক ও দুদক পরিবারের সদস্য ছৈয়দ মো. শহীদুল্লা পুলিশ হেফাজতে মৃত্যুবরণ করেন। এ ঘটনায় বিভিন্ন গণমাধ্যমে মৃত্যুর বিষয়টি অস্বাভাবিক উল্লেখ করা হয়। তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে বলে দাবি পরিবারের।

আরও পড়ুন : চট্টগ্রামে থানায় দুদক ডিডি’র মৃত্যু, সরানো হলো সেই ২ এএসআইকে

এ ঘটনায় গত ৭ অক্টোবর ‘চট্টগ্রাম প্রতিদিন’ এর অনলাইনে “চট্টগ্রামে থানায় মারা যাওয়া দুদকের ডিডিকে ফাঁসাতে ‘সমন গায়েব’ আদালতের পেশকার” শিরোনামে সংবাদ প্রকাশত হয়। এতে মামলার বাদীর কথোপকথনের অডিও প্রকাশ করা হয়। মৃতের পরিবারের বক্তব্য, ভিডিও ফুটেজ, সিআর মামলার অর্ডারশিট, সমন ও ওয়ারেন্টের কপি, পত্রিকার সংবাদ ইত্যাদি পর্যালোচনায় দেখা যায় যে, গৃহবধুকে বাদী সাজিয়ে স্থানীয় চাঁদাবাজ, আইনজীবী, কোর্ট কর্মকর্তা, বিপথগামী কতিপয় পুলিশ সদস্য সিন্ডিকেট করে মরহুম ছৈয়দ মো. শহীদুল্লার বিরুদ্ধে মিথ্যা, মনগড়া, ভিত্তিহীন একটি পিটিশন দায়ের করেন। এ সিন্ডিকেটের কারণে বহু মানুষ হয়রানির শিকার হচ্ছেন।

চিঠিতে আরও উল্লেখ করা হয়, সরকারি কর্মচারীদের দ্বারা ঘুষ দুর্নীতির ভিত্তিতে গড়ে উঠা সিন্ডিকেটের মাধ্যমে সাধারণ মানুষ হয়রানি ও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। যা দুর্নীতি দমন কমিশনের তফশিলভুক্ত অপরাধ। প্রকাশিত সংবাদটি আমলে নিয়ে অনুসন্ধানের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে চিঠিতে অনুরোধ জানানো হয়।

প্রসঙ্গত, চিঠির অনুলিপি দুদক প্রধান কার্যালয়ের কমিশনার তদন্ত, অনুসন্ধান এবং মহাপরিচালক (তদন্ত-২) ও আহ্বায়ক, যাচাই বাছাই কমিটি বরাবর দেওয়া হয়েছে।

আরএস/আরবি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!