নৈসর্গিক সৌন্দর্যের জন্য বিখ্যাত কক্সবাজার। এখানে রয়েছে বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্রসৈকত। এছাড়া রয়েছে পাহাড়, ছড়া, ঝিরি-ঝরনাসহ আরও অনেককিছু। প্রকৃতির এসব অপার সৌন্দর্য একসঙ্গে উপভোগ করতে পর্যটকরা ছুটে আসেন এখানে।
পুরো রমজানজুড়ে কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতে ছিল একেবারে সুনসান। ছিল না পর্যটকদের আনাগোনা। বেশিরভাগ হোটেল-মোটেল খালি পড়ে ছিল। তবে এবার সেই নীরবতা ভাঙতে শুরু করেছে। ঈদের ছুটিতে চলছে রুম বুকিং।
এর আগেই অবশ্য ধুয়ে-মুছে পরিষ্কার করে নতুন সাজে সাজানো হয়েছে এখানকার হোটেল-মোটেল ও রেস্তোরাঁ। বলতে গেলো পর্যটক বরণে সব প্রস্তুতি শেষ।
চাঁদ দেখা সাপেক্ষে ২২ এপ্রিল (শনিবার) অথবা ২৩ এপ্রিল (রোববার) পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপিত হবে। লম্বা ঈদের ছুটিতে এবার বিপুলসংখ্যক পর্যটকের সমাগমের আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা। ইতোমধ্যে অনেক হোটেল-মোটেলের রুম অগ্রিম বুকিং হয়ে গেছে। এছাড়া পর্যটকদের নিরাপত্তায় ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে ট্যুরিস্ট পুলিশ।
মেরিন ড্রাইভ হোটেল-রিসোর্টস অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মুকিম খান বলেন, ঈদের ছুটিতে মেরিন ড্রাইভ হোটেলগুলোর প্রায় ৭০ ভাগ রুম অগ্রিম বুকিং হয়ে গেছে। পর্যকদের আগমন উপলক্ষে আমাদের ব্যাপক প্রস্তুতি রয়েছে।
যোগাযোগ করা হলো ট্যুরিস্ট পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোল্লা মোহাম্মদ শাহীন আলোকিত চট্টগ্রামকে বলেন, আসন্ন ঈদুল ফিতরের ছুটিতে কক্সবাজারে ব্যাপক পর্যটকের সমাগম ঘটবে। পর্যটকদের নিরাপত্তায় সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। চুরি-ছিনতাই প্রতিরোধে নির্জন জায়গায়াগুলোতে সাদা পোশাকে দায়িত্ব পালন করবে পুলিশ।
এদিকে ঈদের ছুটিতে প্রতিদিন গড়ে ৮০ হাজার পর্যটক কক্সবাজার ভ্রমণ করবে বলে প্রত্যাশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
আরবি/আলোকিত চট্টগ্রাম