ইপিজেডে যুবকের লাশ—পালিয়েও বাঁচল না সেই তরুণী

নগরের ইপিজেড এলাকার তালাবদ্ধ ঘর থেকে আকরাম উল্লাহ (৪২) নামে এক যুবকের লাশ উদ্ধারের ঘটনায় গ্রেপ্তার রোজিনা বেগম রোজির (২৩) তিনদিনের রিমান্ড আবেদন মঞ্জুর করেছেন আদালত।

মঙ্গলবার (৪ জুলাই) চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট অলিউল্লাহর আদালতে রোজির বিরুদ্ধে সাতদিনের রিমান্ড আবেদন করলে শুনানি শেষে আদালত তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করে পিবিআই পুলিশ পরিদর্শক মো. মাসুদ পারভেজ আলোকিত চট্টগ্রামকে বলেন, বিষয়টি তদন্তাধীন রয়েছে। রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদের পর হত্যাকাণ্ডের বিস্তারিত জানা যাবে।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, নগরের ইপিজেড এলাকায় একটি ভাড়া বাসায় স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে থাকতেন আকরাম উল্লাহ (৪২) ও রোজিনা বেগম রোজি (২৩)। এক মাস থাকার পর চলতি মাসে তারা বাসা ছেড়ে দেওয়ার কথা জানায়। কিন্তু মাসের এক তারিখেও বাসা ছেড়ে না দেওয়ায় ভবনের দারোয়ান রাতে গিয়ে ঘরের তালা ভেঙে ভেতরে খাটের নিচে আকরামের মরদেহ দেখতে পান। এরপর থানায় খবর দিলে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে। এসময় স্ত্রী পরিচয়ে থাকা রোজিনার খোঁজ পাওয়া যায়নি।

আরও পড়ুন: পেকুয়ায় বাসের মুখোমুখি অটোরিকশা, ২ যুবক লাশ

এ ঘটনার পর রোববার (২ জুলাই) নগরের উপিজেড থানায় মামলা করেন আকরামের ১৬ বছরের ছেলে। মামলায় পর পলাতক রোজিকে খুলনার দৌলতপুর থানার উত্তর বণিকপাড়া থেকে গ্রেপ্তার করে পিবিআই।

গ্রেপ্তার রোজিনা বাগেরহাট শরণখোলা থানার রায়েন্দা ইউনিয়নের পোলেরহাট খোলা এলাকার মোল্লা বাড়ির মৃত রোস্তম মোল্লার মেয়ে। তিনি একই ইউনিয়নের তাফাল বাড়ির কবির মোল্লার স্ত্রী। নগরের ইপিজেড এলাকায় পোশাক শ্রমিক হিসেবে কর্মরত ছিলেন তিনি। ইপিজেড থানার নিউমুরিং কেবি ম্যানশনের তৃতীয় তলার ৩০৭ নম্বর রুমে আকরামের সঙ্গে থাকতেন রোজিনা।

আরও জানা গেছে, মৃত আকরাম উল্লাহ নোয়াখালী সেনবাগ থানার বাতানিয়া এলাকার বাসিন্দা। তিনি ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে কাভার্ডভ্যান চালাতেন। তার স্ত্রী, দুছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে। মাঝেমধ্যে বাড়িতে আসা-যাওয়া করতেন। কিন্তু বেশ কিছুদিন ধরে তিনি পরিবারের খোঁজখবর রাখেননি। গত শনিবার (১ জুলাই) রাত ২টায় সেনবাগ পৌরসভার ওয়ার্ড কমিশনার বেলাল হোসেন পরিবারকে জানায় আকরাম উল্লাহর লাশ পাওয়া গেছে। পরে পরিবারের লোকজন থানায় গিয়ে মরদেহ বুঝে নেন। এরপর থানায় মামলা করা হয়।

এদিকে মৃতদেহের নাক দিয়ে রক্ত এবং গলায় কালো দাগের চিহ্ন রয়েছে বলে সুরতহাল রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে। পরে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পঠানো হয়।

আরএস/আরবি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!