ইন্দোনেশিয়ায় ফুটবল ম্যাচে হঠাৎ সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ, নিহত ১২৯

ইন্দোনেশিয়ায় ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে পদদলিত কমপক্ষে ১২৯ জন নিহত হয়েছেন। ম্যাচ শেষে সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ার পর পদদলিত হয়ে প্রাণহানির এই ঘটনা ঘটে। এছাড়া এই ঘটনায় আরও প্রায় ২০০ জন আহত হয়েছেন।

রোববার (২ অক্টোবর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি। এতে বলা হয়েছে, শনিবার একটি ফুটবল ম্যাচ শেষে সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় দাঙ্গাকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ টিয়ারগ্যাস নিক্ষেপ করার পর ব্যাপক বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয় এবং পদদলিত হয়ে হতাহতের এই ঘটনা ঘটে।

বিবিসি বলছে, ইন্দোনেশিয়ার পূর্ব জাভাতে আরেমা এফসি নামে একটি ফুটবল ক্লাব প্রতিদ্বন্দ্বী পার্সেবায়া সুরাবায়ার কাছে হেরে যাওয়ার পর এই ঘটনা ঘটে। এছাড়া সংঘর্ষ ও পদদলিত হয়ে আরও প্রায় ১৮০ জন আহত হয়েছেন।

এ ঘটনার বেশ কিছু ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে। এসব ভিডিওতে চূড়ান্ত বাঁশি বাজানোর পরে ভক্তরা মাঠের দিকে দৌঁড়াতে দেখা যায়। পুলিশ তখন টিয়ার গ্যাস নিক্ষেপ করে, যার ফলে ভিড়ের মধ্যে পদদলিত এবং শ্বাসরোধের ঘটনা ঘটে বলে পূর্ব জাভার পুলিশ প্রধান বলেছেন।

নিকো আফিন্তা বলেন, নিহতদের মধ্যে দুই পুলিশ কর্মকর্তাও রয়েছেন।

ইন্দোনেশিয়ান ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন (পিএসএসআই) বলেছে, এই ঘটনায় তারা তদন্ত শুরু করেছে। এছাড়া এই ঘটনাটি ‘ইন্দোনেশিয়ার ফুটবলের মুখকে কলঙ্কিত করেছে’ বলেও উল্লেখ করেছে তারা।

ইন্দোনেশিয়ার সরকার ঘটনার জন্য ক্ষমা চেয়েছে এবং পদদলিত হয়ে প্রাণহানির পরিস্থিতি তদন্ত করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।

ইন্দোনেশিয়ার ক্রীড়া ও যুব মন্ত্রী জয়নুদিন আমালি সম্প্রচার প্রতিষ্ঠান কোম্পাসকে বলেছেন, ‘আমরা এই ঘটনার জন্য দুঃখিত… এটি একটি দুঃখজনক ঘটনা যা আমাদের ফুটবলকে এমন এক সময়ে ‘আহত’ করেছে যখন সমর্থকরা স্টেডিয়ামে ফুটবল ম্যাচ দেখতে পারে।’

তিনি বলেন, আমরা ম্যাচের আয়োজন এবং সমর্থকদের উপস্থিতি পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে মূল্যায়ন করব। আমরা কি সমর্থকদের মাঠে যোগদান নিষিদ্ধ করার দিকে ফিরে যাব? সেটাই আএসআই/আলোকিত চট্টগ্রামমরা আলোচনা করব এখন।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!