বিয়ের প্রলোভনে তরুণী প্রেমিকাকে ধর্ষণ এবং হুমকির অভিযোগে করা মামলায় মো. আলমগীর (৩১) নামে এক যুবককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার (১৮ এপ্রিল) চট্টগ্রাম নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৪ এর বিচারক মো. জাকির হোসেন এ রায় দেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি আলমগীর কক্সবাজার জেলার চকরিয়া পৌরসভার হাল কাকাড়া সওদাগরপাড়া নুর মোহাম্মদের ছেলে। তিনি চট্টগ্রাম নগরের বায়েজিদ থানার আতুরার ডিপো এলাকার একটি পোশাক কারখানায় কর্মরত ছিলেন। অভিযোগকারী তরুণীও ছিলেন একজন পোশাক শ্রমিক। তিনিও কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলার বাসিন্দা।
বিষয়টি নিশ্চিত করে রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি নিখিল কুমার নাথ আলোকিত চট্টগ্রামকে বলেন, বায়েজিদ বোস্তামি এলাকার একটি ধর্ষণের মামলায় মো. আলমগীরকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডসহ ১০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও চার মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। আসামির উপস্থিতিতেই রায় ঘোষণা করা হয়। পরে সাজা পরোয়ানামূলে আসামিকে কারাগারে পাঠানো হয়।
আরও পড়ুন : বিছানায় নিতে তরুণীকে ব্ল্যাকমেল, ধরা খেল সেই ভণ্ড প্রেমিক
মামলার অভিযোগ থেকে জানা গেছে, ভুক্তভোগী তরুণীর সঙ্গে পরিচয় হয় আলমগীরের। পরে প্রেমের সম্পর্কে পরিণত হয়। এসময় বিভিন্ন মাজারে নিয়ে গিয়ে প্রেমিকার মাথায় হাত রেখে বিয়ে করার শপথ করেন প্রেমিক। আশ্বাস দেন বিয়ে করার।
এরপর ২০১৮ সালের ১৮ আগস্ট সন্ধ্যায় নগরের বায়েজিদ বোস্তামি থানার তারা গেট এলাকার একটি ভাড়া বাসায় নিয়ে শারীরিক সম্পর্ক করার চেষ্টা করেন প্রেমিক আলমগীর। এসময় তরুণী তার কথায় রাজি না হওয়ায় আল্লাহকে সাক্ষী রেখে নিজেকে স্বামী বলেও দাবি করেন তিনি। এরপর তরুণীর সঙ্গে কয়েকবার শারীরিক সম্পর্ক করেন আলমগীর।
পরে ওই তরুণী যোগাযোগ করলে আলমগীর তাকে অস্বীকার করে চেনে না বলেও জানান। ওই তরুণী বারবার যোগাযোগের চেষ্টা করলেও আলমগীর তাকে হুমকি-ধমকি দেন। এছাড়া আইনি ব্যবস্থা নিলে খারাপ পরিণতি হবে বলেও জানান।
এসব ঘটনার ২০ দিন পর ট্রাইব্যুনালে মামলা করেন ভুক্তভোগী তরুণী। তদন্ত শেষে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) অভিযোগপত্র জমা দিলে ২০১৯ সালের ১ জানুয়ারি অভিযোগ আমলে নেন আদালত। ২০২১ সালের ৩ মার্চ আলমগীরের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন ট্রাইব্যুনাল। মামলায় ৫ জন স্বাক্ষীর সাক্ষ্য উপস্থাপন করা হয়।
আরএস/আরবি