৪৫০ টাকার জন্য খুন করে পালিয়ে যাওয়া খুনি র‌্যাবের জালে

কুতুবদিয়ায় চাঞ্চল্যকর খোরশেদ আলম হত্যার প্রধান আসামি মো. তারেককে (২৪) গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব-১৫।

বুধবার (৫ এপ্রিল) রাতে চকরিয়া উপজেলার হারবাং এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তার তারেক কক্সবাজার জেলার কুতুবদিয়া উপজেলার মিজ্জিওপাড়ার জাহাঙ্গীর আলমের ছেলে।

এ বিষয়ে র‌্যাব-১৫ কক্সবাজারের অধিনায়ক (ল’ অ্যান্ড মিডিয়া) সহকারী পুলিশ সুপার মো. শামসুল আলম খান বলেন, নিহত খোরশেদ আলম কুতুবদিয়া উপজেলার উত্তর ধুরং ইউনিয়নের মিজ্জিওপাড়া এলাকার বেড়িবাঁধে ছোট্ট একটি চায়ের দোকান করতেন। চায়ের দোকান থেকে নিয়মিত বাকি খেতেন আসামি তারেক। একপর্যায়ে ৪৫০ টাকা বাকি হয়ে যায় তারেকের। গত ২০ মার্চ তারেককে বকেয়া টাকা দিতে বলেন খোরশেদ। এসময় ক্ষুব্ধ হয়ে তারেক ওইদিন রাতে খোরশেদকে মিজ্জিওপাড়ার বেড়িবাঁধে নিয়ে আরও ৫-৬ জনসহ কুপিয়ে জখম করে পালিয়ে যায়।

আরও পড়ুন: প্রবাসী মেয়ের জামাইকে খুন করতে লাখ টাকা দিয়েছিল শাশুড়ি

তিনি বলেন, পরে স্থানীয় লোকজন খোরশেদকে উদ্ধার করে কুতুবদিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। অবস্থার অবনতি হলে পরদিন আহত খোরশেদকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ৩১ মার্চ তিনি মারা যান।

তিনি আরও বলেন, ঘটনার একদিন পর ২২ মার্চ আহতের বাবা বাদী হয়ে তারেককে প্রধান ও ৬-৭ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে কুতুবদিয়া থানায় মামলা করেন। ঘটনার পর গ্রেপ্তার তারেক এলাকা ছেড়ে চকরিয়ার এক আত্মীয়ের বাসায় আত্মগোপন করেন। এসময় তার ব্যবহৃত মোবাইল বন্ধ রাখা হয়। পরে গোপন সংবাদে বুধবার রাতে হারবাং থেকে তারেককে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর তাকে কুতুবদিয়া থানায় হস্তান্তর করা হয়।

গ্রেপ্তার তারেককে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন বলেন জানান র‌্যাবের এই উর্ধ্বতন কর্মকর্তা।

যোগাযোগ করা হলে কুতুবদিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মিজানুর রহমান আলোকিত চট্টগ্রামকে বলেন, গ্রেপ্তার তারেককে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

এমকেডি/আরবি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!