৩০ লাখ টাকা না পেলে বাঁচবে না শিক্ষক পলাশ

লোহাগাড়া উপজেলার দক্ষিণ চুনতি হিন্দুপাড়ার বাসিন্দা ও জিনিয়াস কোচিং হোমের পরিচালক শিক্ষক পলাশ কান্তি আচার্য্যের দুটি কিডনিই নষ্ট হয়ে গেছে। বাঁচতে হলে জরুরি ভিত্তিতে একটি কিডনি প্রতিস্থাপন করানোর পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা। এজন্য প্রয়োজন প্রায় ৩০ লাখ টাকা। কিন্তু ওই শিক্ষকের পরিবারের পক্ষে ব্যয়বহুল চিকিৎসা চালিয়ে নেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। তাই সমাজের বিত্তবান ও দানশীল ব্যক্তিদের সহায়তা চেয়েছেন তিনি।

পরিবার সূত্রে জানা যায়, ২০২৩ সালের মার্চে পলাশ কান্তি আচার্য্যের দুটি কিডনিতে জটিল রোগ ধরা পড়ে। তখন থেকে চলতি বছরের জানুয়ারি পর্যন্ত দেশে এবং ভারতে চিকিৎসারা জন্য সাড়ে ১০ লাখ টাকা ব্যয় করেও তিনি পুরোপুরি সুস্থ হতে পারেননি। শিক্ষক পলাশ তাঁর মা, স্ত্রী এবং ৪ সন্তান নিয়ে চট্টগ্রাম নগরের একটি ভাড়া বাসায় থাকেন। কিডনি রোগের চিকিৎসা খরচ চালাতে গিয়ে পরিবারটির আর্থিক অবস্থা এখন খুবই খারাপ। বর্তমানে নিজের প্রতিষ্ঠিত জিনিয়াস কোচিং হোমও অসুস্থতার কারণে তিনি পরিচালনা করতে পারছেন না।

আরও পড়ুন : ছোট্ট শরীরে ‘বড়’ রোগ, বাঁচাতে হবে গুনগুনকে

চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, পলাশ কান্তি আচার্য্যকে বাঁচাতে হলে আপাতত একটি কিডনি প্রতিস্থাপন জরুরি। বাংলাদেশে ডোনার পেলে খরচ পড়বে ১৫ লাখ টাকা। আর ভারতে চিকিৎসা নিতে খরচ হবে প্রায় ৩০ লাখ টাকা।

এ অবস্থায় ওই শিক্ষকের চিকিৎসার জন্য সমাজের হৃদয়বান ও দানশীল ব্যক্তির সহযোগিতা কামনা করেছে তাঁর পরিবারসহ শিক্ষার্থীরা। চিকিৎসায় সহযোগিতা দিতে সরাসরি রোগীর মোবাইল নম্বরে (০১৮১৫-৮৮২৫৭৬) যোগাযোগ করা যাবে। এছাড়া সোনালী ব্যাংক, চট্টগ্রাম কোর্ট হিল শাখায় পলাশ কান্তি আচার্য্য-এর নামে ০০০০০০২০৮১৮৫৬ হিসাব নম্বরেও সহায়তা পাঠানো যাবে।

আলোকিত চট্টগ্রাম

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!