পুলিশের মামলায় মিরসরাইয়ের ১৩ বিএনপি নেতা জেলে

মিরসরাই উপজেলা বিএনপির ১৩ জন নেতাকর্মীকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।

মঙ্গলবার (১৪ মার্চ) মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক ড. বেগম জেবুন্নেছা শুনানি শেষে এ আদেশ দেন। এর আগে আসামিরা আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন।

কারাগারে পাঠানো বিএনপি নেতাকর্মীরা হলেন- উপজেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক আব্দুল আউয়াল চৌধুরী, বর্তমান আহ্বায়ক শাহীদুল ইসলাম চৌধুরী, পৌর বিএনপির আহ্বায়ক মহিউদ্দিন, উপজেলা বিএপির সদস্য মাঈন উদ্দিন মাহমুদ ও গিয়াস উদ্দিন, বারইয়ারহাট পৌর বিএনপির সাবেক সভাপতি মাঈন উদ্দীন লিটন, উত্তর জেলা ছাত্রদল সভাপতি জাহিদুল আফছার জুয়েল, উত্তর জেলা যুবদলের সহসভাপতি নুরুল আলম, উত্তর জেলা যুবদলের যুগ্ম সম্পাদক শওকত আকবর সোহাগ, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক ওমর শরীফ, হিঙ্গুলী ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক কাজী সালেহ আহম্মদ, উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক সরোয়ার হোসেন রুবেল, পৌর যুবদলের সদস্য সচিব বোরহান উদ্দীন সবুজ।

আরও পড়ুন: পুলিশ-বিএনপি সংঘর্ষে চট্টগ্রাম রণক্ষেত্র, পুড়ল মোটরসাইকেল, ভাঙল দোকান—কার

এ বিষয়ে আসামিপক্ষের আইনজীবী নাজমুল হোসেন বলেন, আজ চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ আদালতে বিএনপির নেতাকর্মীরা আত্মসমর্পণ করে জামিন চান। আদালত জামিন নামঞ্জুর করে তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

আদালত সূত্রে জানা যায়, চলতি বছরের জানুয়ারিতে চট্টগ্রামের কোতোয়ালি থানা এলাকায় পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ৯০ জনের নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাত ৫০০ থেকে ৬০০ জনকে আসামি করে চারটি মামলা করে কোতোয়ালি থানা পুলিশ।

যোগাযোগ করা হলে উত্তর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক নুরুল আমিন আলোকিত চট্টগ্রামকে বলেন, চলতি বছর জানুয়ারি মাসে চট্টগ্রামে বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশ চলাকাল পুলিশ বাহিনী মারমুখী আচরণ করে নেতাকর্মীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। সেখানে পুলিশের কোনো গাড়ি ভাঙচুর করা হয়নি। এসব আজগুবি মামলা অপরাজনীতির অংশ। জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির পক্ষ থেকে এসব মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করে নেতকর্মীদের নিঃশর্ত মুক্তির দাবি করছি।

এএ/আরবি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!