হাত-পা বেঁধে খুন করায় ২ জনের মৃত্যুদণ্ড, যাবজ্জীবন জেল ২ নারীর

পুলিশ ব্যুরো ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) তদন্ত প্রতিবেদন ও ২২ জনের সাক্ষীর ভিত্তিতে হাজী জালাল উদ্দীন সুলতান হত্যা মামলার রায় দিয়েছেন আদালত। এতে দুই পুরুষকে মৃত্যুদণ্ড ও ২ নারীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।

রোববার (৩১ জুলাই) দুপুরে চতুর্থ অতিরিক্ত চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ শরীফুল আলম ভূঁঞার আদালত শুনানি শেষে এ রায় দেন।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- কামাল হোসেন ও মো. রাসেল। যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- সুরমা আক্তার ও নীলু আক্তার রিয়া।

আরও পড়ুন: ছাত্রলীগ নেতা রাজু খুন—রিমান্ডে ৪ আসামি

রায় ঘোষণার সময় নীলু আক্তার রিয়া আদালতে অনুপস্থিত ছিলেন। রায়ের পর তিন আসামিকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেন আদালতের বেঞ্চ সহকারী ওমর ফুয়াদ আলোকিত চট্টগ্রামকে বলেন, নগরের ডবলমুরিং থানাধীন হাজী জালাল উদ্দীন সুলতান হত্যা মামলায় ২ জনের মৃত্যুদণ্ড ও ২ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। রায় ঘোষণার সময় দণ্ডপ্রাপ্ত ৪ আসামির মধ্যে ৩ জন উপস্থিত ছিলেন। অপর এক আসামি নীলু আক্তার রিয়া জামিনে গিয়ে পলাতক রয়েছেন। আদালত আসামিদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০১৬ সালের ২০ অক্টোবর নগরের ডবলমুরিং থানাধীন সিডিএ আবাসিক এলাকার ব্যাংক কলোনির উত্তর গেট থেকে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় হাজী জালাল উদ্দীন সুলতানের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় নিহতের ছেলে ইমাজ উদ্দিন বাদী হয়ে ডবলমুরিং থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। আদালতের নির্দেশে এ মামলা তদন্ত করেন পিবিআই। ২০১৭ সালের ২৮ মে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা তৎকালীন পিবিআই চট্টগ্রাম মেট্রোর পরিদর্শক সন্তোষ কুমার চাকমা আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন। তদন্ত প্রতিবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে একই বছরের ৯ সেপ্টেম্বর অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত। এতে ২২ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়।

আরএস/এসআই

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!